দাঁড়ালে দুয়ারে মোর, গাহিয়া সজল চোখে

বিস্ময় জাগে, তিনি কিভাবে পারেন! সেই বিস্ময়ের ঘোর সৃষ্টি হয়েছে বহুবার। স্মৃতির পাতার স্তুপ ঘেটে ধোনির সেই সব স্ট্যাম্পিংয়ে ফিরিস্তিতে ঢুঁ মারা যেতেই পারে। কিংবদন্তিদের ফেলে আসা জীবনও যে বর্ণিল এক একটি অধ্যায়।

উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনি চমকে দিয়েছেন বহুবার। বিদ্যুৎ গতিতে তিনি স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেছেন বারংবার, তা দেখে চক্ষু কপালে উঠেছে সকলের। এই ৪৪ বছর বয়সেও ভাটা পড়েনি তার ক্ষিপ্রতায়। এই তো সেদিন সুরিয়াকুমার যাদবকে চোখের পলকে আউট করেছেন তিনি বেলস উপড়ে ফেলে।

বিস্ময় জাগে, তিনি কিভাবে পারেন! সেই বিস্ময়ের ঘোর সৃষ্টি হয়েছে বহুবার। স্মৃতির পাতার স্তুপ ঘেটে ধোনির সেই সব স্ট্যাম্পিংয়ে ফিরিস্তিতে ঢুঁ মারা যেতেই পারে। কিংবদন্তিদের ফেলে আসা জীবনও যে বর্ণিল এক একটি অধ্যায়।

২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিমো পলকে স্ট্যাম্পিং করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেবার তিনি গড়েছিলেন রেকর্ড। মাত্র ০.০৯ সেকেন্ডে তিনি স্ট্যাম্পের উপরে থাকা বেলস উপরে ফেলেন। একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি স্ট্যাম্পিং করেন ০.০৯ সেকেন্ডে। মিশেল মার্শের কপাল পুড়েছিল সেদিন।

সেবারই ধোনি বুঝিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে তিনি চিতাবাঘের থেকেও দ্রুত। আইপিএলে এর আগে ০.১ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি আউট করেছিলেন শুভমান গিলকে। ২০২৩ সালের ফাইনালের মঞ্চে তিনি দ্রুততার নিদর্শন মঞ্চায়িত করেছিলেন।

এরপর এসে ২০২৫ সালে তিনি সুরিয়াকুমার যাদবকে ফিরিয়েছেন সাজঘরে। এদফা তিনি সময় নিয়েছেন ০.১২ সেকেন্ড। বয়সের সাথে সাথে তার ক্ষিপ্রতায় ভাটা পড়েছে। ৪৪ বছর বয়স তো আর কম নয়। বয়সের ভারে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি কমেছে তার। সে কারণেই এতটা কালক্ষেপন হচ্ছে তার।

একজন সাধারণ মানুষের চোখের পলক পড়ে সাধারণত ২ সেকেন্ড পর পর। অতএব, চোখের পলক পড়ার প্রায় অর্ধেকের কম সময় আগেই তিনি স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলতে পারেন। তাতেই বরং বোঝা যায়, এখনও স্ট্যাম্পের পেছনে ঠিক কতটা দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ধোনি এক আলাদা উচ্চতায় বসে আছেন, সেই উচ্চতায় পৌঁছানো বড় দায়।

Share via
Copy link