প্রিয় কেন উইলিয়ামসন, ব্যক্তিপুজোর দেশ ভারতবর্ষ থেকে লিখছি। একটু বলবেন, কীভাবে লেখেন এই স্ক্রিপ্ট? একটি পাঁচ দিনের ম্যাচে, শেষ বলে, আই রিপীট, শেষ বলে, শরীর ছুঁড়ে দিয়ে, ঘষটে ঘষটে, আপনার ব্যাট’টা জাস্ট হাফ ফুট পপিং ক্রিজে ঢুকে পরল। টেস্টের পঞ্চম দিনে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেও, আপনাকে এরকম শ্রমিকের মতো, হাঁচড়-পাঁচড় করে দৌড়ে রান নিতে হলো কেন?
কারণ দুই বলে এক রান বাকি এরকম অবস্থায়, বোলার (নাকী বোলিং টিম) দুটি বলই চরম নেগেটিভ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। মাথার হাত দুয়েক ওপর দিয়ে। এই বলটি ওভারের তৃতীয় এরকম বল, নো বল হবার কথা ছিল। আম্পায়ার বেমালুম ডাকতে ভুলে গেলেন।
যাকগে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। শেষ এরকম ব্যাটিং দেখেছিলুম, ব্যক্তি পুজোর দেশ ভারতবর্ষ থেকেই একজন দেখিয়েছিলেন, তিনি আপাতত গাড়ি দুর্ঘটনায় বাড়িতে শয্যাশায়ী। আজকাল ক্রিকেট মাঠে অনেকেই দাড়ি রেখে সন্ন্যাসী সাজছেন।
কেন জানি না, একমাত্র আপনাকে দেখেই মনে হয় মানাচ্ছে। আপনিই উত্তম – সন্ন্যাসী রাজা, বাকী সব সন্ন্যাসী সাজা।
এবার আরেকজনের কথা বলি। নিরোশান ডিকওয়েলা। আপনার জন্য একদম কোনো প্রকার সমবেদনা জাগরুক হচ্ছে না। আপাতভাবে দেখলে মনে হবে, দুর্দান্ত ডাইরেক্ট থ্রোতে উইকেট ছিটকে দিয়েও উইলিয়ামসনকে আপনি ফেরাতে পারলেন না। ব্যাড লাক। আসলে একদমই তা নয়। আপনি কিপার, আপনার বল ছুঁড়তে এতো দেরি কেন হবে, যে স্ট্রাইকার নিজের শট শেষ করেও, পুরো বাইশ গজ দৌড়নোর সুযোগ পাবেন।
আবার, এর আগে তেত্রিশ রানের মাথায়, ক্যাচ ছেড়ে, উইলিয়ামসনকে প্রাণ দান করেছেন। শুনুন ভাই, এভাবে না টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা যায় না। ভারতকে দেখে শিখুন – আমরা আসল খেলোয়াড়ের ওপর (কেন উইলিয়ামসন) ভরসা রেখেছিলাম তাই শেষ টেস্ট জেতার চেষ্টাই করলাম না।
আর ইয়ে, নামটা পাল্টাবেন কীনা ভেবে দেখুন।