শাহীন আফ্রিদির বিকল্প আছে, বাদ দেওয়া সাহস নেই

শিকারি বাজপাখি হয়ে উড়ে বেড়িয়েছেন একটা সময়ে, সেই শাহীন শাহ আফ্রিদি এখন রীতিমত পাকিস্তানের গলার কাঁটা। তিনি যেন প্রতিপক্ষের আশির্বাদ আর পাকিস্তানের সর্বনাশে পরিণত হয়েছেন। তাইতো তার বিকল্পের গুঞ্জন ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে।

শিকারি বাজপাখি হয়ে উড়ে বেড়িয়েছেন একটা সময়ে, সেই শাহীন শাহ আফ্রিদি এখন রীতিমত পাকিস্তানের গলার কাঁটা। তিনি যেন প্রতিপক্ষের আশির্বাদ আর পাকিস্তানের সর্বনাশে পরিণত হয়েছেন। তাইতো তার বিকল্পের গুঞ্জন ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে।

শাহীন শাহ আফ্রিদির উপর প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন নিত্যদিন, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই ফরম্যাটে তার বিকল্প হতে পারেন তিনজন বোলার। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে হাসান আলী আবারও এসেছেন আলোচনায়।

পাকিস্তানের হারিয়ে যাওয়া তারকা হাসান আলী। এবারের পাকিস্তান জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে দূর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। চার ম্যাচে ১৩ উইকেট বাগিয়েছেন তিনি। ইকোনমি রেট তার সাতের ঘরে, আটের নিচে। বয়স হয়েছে তার, কিন্তু তবুও প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞতা বিচারে তিনি হতে পারেন আফ্রিদির যোগ্য বিকল্প।

তাছাড়া মোহাম্মদ আমির খানও আসতে পারেন বিবেচনায়। তিন ম্যাচ খেলেছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন সাতটি। তবে তার সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে- ইকোনমি রেট। মাত্র ৫.৭৫ ইকোনমি রেটে রান বিলিয়েছেন তিনি। তিনিও রাডারে রয়েছেন পাকিস্তানের।

মুলতানের মোহাম্মদ ইসমাইলও হতে পারেন যথাযথ বিকল্প। তিনিও দূর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে। পাঁচ ম্যাচে ১১ খানা উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। এছাড়া আট এর একটু বেশি ইকোনমিতে রান দিয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল। তাকেও বিবেচনায় নিতে পারে পাকিস্তানের নির্বাচকরা।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পাকিস্তানের নির্বাচকরা কি আদোতে শাহীনকে বাদ দেওয়ার সাহসটুকু রাখেন কিনা। বড় নাম, বড় তারকা, তাদের অফফর্মেও বাদ দেওয়ার রেওয়াজ নেই পাকিস্তানে। বিকল্প রয়েছে, এখন সাহস দেখানোর পালা।

Share via
Copy link