থিয়াগো মেসির অতিমানবীয় কাণ্ড

ম্যাচের বারো মিনিট থেকে শুরু তাঁর ধ্বংসযজ্ঞ, তারপর ৩০ মিনিটের মধ্যে পূর্ণ হয় হ্যাটট্রিক। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরো দুইবার গোল উদযাপন করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও এই কিশোরের গোল উৎসবে ভাটা পড়েনি, একটার পর এক শট জালে জড়িয়েছেন তিনি।

কথায় আছে, বাপ কা বেটা – বাবা যেমন, ছেলেও তেমন হয়। থিয়াগো মেসি বোধহয় সেটাই প্রমাণ করতে চাইলেন, আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে নেমে রীতিমতো অবিশ্বাস্যের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে তিনি একাই করেছেন ১১ গোল, এ যেন লিওনেল মেসির মতই অতিমানবীয় ব্যাপার স্যাপার।

আর্জেন্টাইন সুপারস্টার এখন আছেন ইন্টার মিয়ামিতে, সেই সুবাদে তাঁর বড় ছেলে থিয়াগো ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলছেন নিয়মিত। তবে নিজের সমবয়সীদের তুলনায় তিনি যোজন যোজন এগিয়ে, সেটাই স্পষ্ট হলো আটলান্টার বিপক্ষে।

ম্যাচের বারো মিনিট থেকে শুরু তাঁর ধ্বংসযজ্ঞ, তারপর ৩০ মিনিটের মধ্যে পূর্ণ হয় হ্যাটট্রিক। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরো দুইবার গোল উদযাপন করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও এই কিশোরের গোল উৎসবে ভাটা পড়েনি, একটার পর এক শট জালে জড়িয়েছেন তিনি। ৮৭ মিনিটের সময় তাঁর ব্যক্তিগত গোলের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে পা রাখে, শেষপর্যন্ত অবশ্য এগারো গোলে থামতে হয়েছে তাঁকে।

থিয়াগো যে হারে গোল দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি আসলে গোল দেননি বরং মাঝমাঠে পাস পাস খেলেছেন। আর প্রতিটা পাসকে একটা করে গোল ভাবা হয়েছে – তা নাহলে কি, এভাবে মেশিনের মত প্রতি পাঁচ, সাত মিনিট পর পর গোল উদযাপন করলে আর কেমন ব্যাখ্যা দেয়া যায়?

বাবার মতই ফরোয়ার্ড হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলছেন ক্ষুদে তারকা; মিয়ামির জার্সিতে খেলার আগে বার্সেলোনা আর পিএসজির জার্সিতে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। এখন দেখার বিষয়, যুব দলে গিয়ে কেমন করেন তিনি।

কিংবদন্তির সন্তান কিংবদন্তি হয়েছেন এমন নজির অবশ্য ক্রীড়া জগতে বিরল৷ থিয়াগো মেসি তাই লিওনেল মেসির মতন হবে, কিংবা কাছাকাছি যাবেন এমন আশা করাটা অমূলক। তবে শুরুটা যে দারুণ হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

Share via
Copy link