বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সঙ্গে জেতার পর টানা ৫ ম্যাচে হার। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারটা যেন কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল বটে। এমন অপ্রত্যাশিত হারে তাই স্বাভাবিক ভাবেই হতাশা লুকাতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে সেই হতাশার কথাই শুনিয়েছেন টাইগার দলপতি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। তবে ১৬০-১৭০ এর মধ্যেই তাদেরকে আটকে দেওয়া উচিৎ ছিল। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই ব্যাট হাতে আমরা খুব খারাপ করছি। এটা খুবই কষ্টদায়ক।’
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনেও এ দিন যোগ দিয়েছিলেন সাকিব। অপ্রত্যাশিতভাবেই সেখানে তামিম ইস্যুতে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সাকিবকে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তামিমের জায়গা না পাওয়া নিয়ে সাকিব-তামিম বৈরিতার ইস্যু নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
বিশ্বকাপের আগে তামিমকে নিয়ে এই ইস্যু দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে কি না? এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘ফেলতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু না। আসলে ব্যক্তি বিশেষে মনের ভেতর কী আছে বা চলছে, এটা বলা মুশকিল। তবে এটা নিয়ে আমার দ্বিমত নেই। এটা দলে প্রভাব ফেলতেই পারে।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দেশে এসেছিলেন সাকিব। আর তা নিয়েই হয়েছিল আলোচনা, সমালোচনা, বিতর্ক। তবে সমর্থকদের এমন সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘এটা বলার তাদের রাইটস আছে। কারণ আমাদের নিয়ে তাদের প্রত্যাশা অনেক। এখন পর্যন্ত সেটার যেহেতু প্রতিদান দিতে পারিনি, তাই সেটি আমরা এমন সমালোচনা ডিজার্ভ করি।’
এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বকাপেই তিনটির বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে সাকিব কন্ঠে ছিল আগের সব অর্জনকে ছাপিয়ে যাওয়ার। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপের অর্ধেকেরও বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার পর সাকিব মনে করছেন, এটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এতে কোনো দ্বিমত নেই যে, এটাই সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।’
নিজেদের এমন ব্যর্থতার পিছনের প্রস্তুতিরও ঘাটতি মনে করেন সাকিব। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আন্ডার প্রিপেয়ার্ড ছিলাম। তবে এগুলাকে এখন অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না।’
১৯৯৯ বিশ্বকাপ দিয়ে শুরুর পর গত ২৪ বছরে ৭টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এই দুই যুগের সময়কালে এক বারের জন্যও সেমিতে পা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। কী করলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব?
এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘এটা তো বলা মুশকিল। আপনি ভুল মানুষকে হয়তো প্রশ্ন করেছেন। আমার জায়গা থেকে যদি আমি বলি, অনেক কিছু পরিবর্তন করলে হয়তো বদলাবে। কিন্তু এখন আসলে এগুলো বলার সময় নয়। এটা অবশ্যই হতাশার। আমাদের মানুষেরা যেভাবে ক্রিকেট পছন্দ করে, সবাই যেভাবে ক্রিকেটে মনোযোগ দেয়, আমাদের এর থেকে ভালো করা উচিত ছিল।’