করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি অংশ শুরু হবে আগামী এক জুন থেকে। স্থগিত হওয়া অংশ শুরু হওয়ার আগে আজ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস।
ড্রাফটের শুরুতেই প্লাটিনাম ক্যাটাগরি থেকে সাকিব আল হাসানকে দলে নেয় লাহোর কালান্দার্স। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে ভেড়ায় মুলতান সুলতান। আর সিলভার ক্যাটাগরি থেকে লিটন দাসকে দলে নিয়েছে করাচি কিংস।
এর আগে করোনা মাহামারীর ভিতরই গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিলো পিএসএলের ষষ্ঠ আসর। জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও কয়েক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই সাত জন ক্রিকেটারের সাথে করোনায় আক্রান্ত হন দুই জন কোচিং স্টাফের সদস্য।
করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর সাথে বৈঠকে বসে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিএসএল স্থগিত ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিএসএল স্থগিত ঘোষণা করে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর সাথে আবারো আলোচনা শেষে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে স্থগিত হওয়া অংশ নিয়ে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা গত ১১ এপ্রিল ভার্চুয়ালে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামী এক জুন থেকে আবার শুরু হবে পিএসএলের বাকি অংশ।
এক নজরে
- সাকিব আল হাসান – লাহোর কালান্দার্স
- লিটন দাস – করাচি কিংস
- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ – মুলতান সুলতান
আগামী এক জুন শুরু হওয়ার পর ২০ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। সব গুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বিকাল পাঁচটায় ও দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে রাত ১০ টায়।
স্থগিত হওয়ার আগে এবারের আসরের ১৪ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এই ১৪ ম্যাচ শেষে পিএসএলের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ মাচে তিন জয় নিয়ে শীর্ষে রয়েছে করাচি কিংস এবং সমান জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পেশোয়ার জালমি। এরপরের স্থান গুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, লাহোর কালান্দার্স, মুলতান সুলতান্স ও কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটরসের।
৫ ম্যাচে ৫৯.৪০ গড়ে ২৯৭ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মোহাম্মদ রেজওয়ান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫৮ রান। পাঁচ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন শান মাসুদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদি ও শাহনেওয়াজ ধানীর শিকার নয়টি করে উইকেট।