দিল্লীর তিন তুরুপের তাস, ফিয়াট আইপিএল!

দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি তাদের অন্যতম সেরা অধিনায়কও ছিলেন এই দুইজন। সুতরাং তাদের ছাড়া দল গঠন করতে গিয়ে বেশ হিমশিমই খেয়েছে দিল্লি ম্যানেজমেন্ট। তবুও তিন খেলোয়াড়ের উপর আস্থা রাখছে এবার ফ্রাঞ্চাইজিটি। যারা হয়ে উঠতে পারেন দলের ত্রাতা। কারা এই তিন সেনানী, চলুন দেখে নেওয়া যাক।

আবারও শুরু চার-ছক্কার লড়াই। আরও একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসর খুবই সন্নিকটে। আরও একবার শিরোপার খোঁজে চাতক পাখির মত অপেক্ষায় দিল্লী ক্যাপিটালস। টুর্নামেন্টের ১৮ তম সিজন শুরু হতে গেলেও এখনো যে একবারও শিরোপা ঘরে তোলা হয়নি দলটির। তার উপর দল ছেড়ে চলে গেছেন শ্রেয়াস আইয়ার আর ঋষভ পান্তও। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম সিজন যেখানে দুইজনের কেওই খেলবেন না দিল্লির হয়ে।

দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি তাদের অন্যতম সেরা অধিনায়কও ছিলেন এই দুইজন। সুতরাং তাদের ছাড়া দল গঠন করতে গিয়ে বেশ হিমশিমই খেয়েছে দিল্লি ম্যানেজমেন্ট। তবুও তিন খেলোয়াড়ের উপর আস্থা রাখছে এবার ফ্রাঞ্চাইজিটি। যারা হয়ে উঠতে পারেন দলের ত্রাতা। কারা এই তিন সেনানী, চলুন দেখে নেওয়া যাক।

  • আশুতোষ শর্মা (ব্যাটার)

মিডল বা লোয়ার অর্ডারে এসে টর্নেডো ইনিংস খেলতে সিদ্ধহস্ত আশুতোষ শর্মা। বিগত পাঁচ বছরে এই পজিশনেই রান করেছেন ৫০০ এর উপরে। তাও আবার প্রায় দুইশো ছুঁইছুঁই স্ট্রাইকরেটে! সহজেই অনুমেয়, আইপিএলের ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ রুলসের পূর্ণ ফায়দা লুটবে দিল্লী তাঁকে দিয়ে।

গত আসরে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে বল খেলতে পেরেছিলেন সব মিলিয়ে মোটে ১১৩ টা। এরমধ্যেই মেরেছিলেন ১০ চার আর ১৫ ছক্কা। দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপে পাগলা ঘোড়া হিসেবেই নিজেকে হাজির করবেন তিনি। দলের সংগ্রহকে যে ছুটিয়ে নিয়ে যাবে বিদ্যুৎ গতিতে।

  • সামির রিজভি (ব্যাটার)

রাশিদ খান টানা দুই ছক্কা মেরে আলোচনায় চলে আসেন সামির রিজভি। যদিও গত আসরটা চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ভালো যায়নি তার। তবে এতে দমে যাননি তিনি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন।

 

মহেন্দ্র সিং ধোনির খুবই কাছের শিষ্য রিজভি কানপুর সুপারস্টার্সকে এই সিজনেই তুলেছিলেন উত্তর প্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগে। ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীও। অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও বীরদর্পে দাপট দেখিয়ে চলেছেন ‘ডান-হাতি সুরেশ রায়না’ খ্যাত রিজভি। তাই তার উপরেও থাকবে বড় ভরসা দলের।

  • মোহিত শর্মা (বোলার)

গত সিজনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন মোহিত শর্মা। এই বর্ষীয়ান পেসারের গড় আর স্ট্রাইকরেটটাও ছিল সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী থেকে ভালো। বিগত দুই সিজনে ২৫ ম্যাচের মধ্যে তিনি ইম্পপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবেই খেলেছেন ১১ টা ম্যাচ।

অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, দুর্দান্ত স্লোয়ার এর মিশেলে এই বয়সে এসেও ব্যাটারদের জন্য বেশ ভয়ংকর নাম মোহিত শর্মা। ৩৬ বছর বয়সী এই পেসারকে তাই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দিতে কাজে লাগাতে চাইবে দিল্লি।

Share via
Copy link