তিলক ভার্মা পরিপূর্ণ ব্যাটার। কিন্তু, খুব একটা কঠিন পরীক্ষায় তিনি এর আগে তেমন একটা পড়েননি। এবার যখন পড়লেন তখন সেটার পুরোটা একদম লুফে নিলেন। ভারতের ভাগ্যের কপালে তিলক এঁকে এনে দিলেন ভার্মা। তাঁর স্মরণীয় এক ইনিংসে নিশ্চিত হল ভারতের জয়।
যত সহজ রান তাড়া ভেবে ভারত নেমেছিল, সেটা আদতে হয়নি। বরং, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে পুরোটা সময় চাপে ছিল ভারত। আর এই পুরোটা সময় ক্রিজে ঠাই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিলক ভার্মা। তিনি ছিলেন বলেই চার বল বাকি থাকতে ম্যাচ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
২০ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অনবদ্য এক ম্যাচ জেতানো ইনিংসের শেষটা রাঙিয়ে দেন তিলক ভার্মা। ৫৫ বলে ৭২ রানের ইনিংস, তাতে পাঁচটি ছক্কা ও চারটি চার। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরিও করেছেন তিলক। তবে, এর আগে কোনোটাই চেন্নাইয়ের এই ইনিংসের মত প্রভাবশালী নয়। ইংল্যান্ডের মুখ থেকে গ্রাস ছিনিয়ে এনে ভারতকে জিতিয়েছেন তিনি।
চেন্নাইয়ের এই উইকেট তেমন মন্থর ছিল না। তবে, বেশ একটা স্পিন নির্ভর আক্রমণ নিয়ে নামে ভারত। তাতে, সফলও হয়। ইংল্যান্ড বোর্ডে জমা করে ১৬৫ রান। ইনিংস শেষে ভারতের অক্ষর প্যাটেল বলে রেখেছিলেন, তারা ১৮০-১৮৫ রান তাড়া করতে প্রস্তুত আছেন।
যদিও, সেই প্রস্তুতি ভারতের ব্যাটিংয়ে তেমন একটা দেখা যায়নি। রান তাড়ার লড়াইয়ে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে ভারত। সেই লড়াইয়ে শেষ অবধি তিলক ভার্মা ছিলেন বলেই আশা ছিল ভারতের। আর সেই আশার পালে হাওয়া শেষ অবধি ছিল বলেই সিরিজ জয়ের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে ভারত।