বাংলাদেশের টপ অর্ডার আরও একবার ব্যর্থ। এদিন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ত্রাণকর্তা হয়ে হাজির হয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তার ব্যাটে ভর করেই কোন মতে লড়াই করবার পুঁজি জুগিয়েছে বাংলাদেশ। নতুবা আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের লজ্জাজনক স্মৃতি হতে পারতে সঙ্গী।
বেশ সবুজে ঘেরা মার্কিন স্টেডিয়াম। ক্রিকেটীয় জৌলুশ নেই সেখানটায়। কোন এক গ্রামীন অঞ্চলের একফালি সবুজ মাঠ। পরিচর্যার দারুণ অভাব স্পষ্ট। বল গড়িয়ে যেতে চায় না। উইকেটও খানিক ধীরগতির। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের যতটা দুর্নাম, তার থেকে ভাল কিছু নয়। এমন এক উইকেটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা করে গেলেন সংগ্রাম।
লিটন দাস এদিনও যেন দিশেহারা। একেবারে সদ্য খেলতে নামা কোন কিশোর যেন। সৌম্য সরকার টুকটাক ব্যাট চালিয়েছেন। তবে তা হয়নি দীর্ঘস্থায়ী। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন নড়বড়ে। তবে তাওহীদ হৃদয় এদের সবার চাইতে ছিলেন ভিন্ন। তিনি উইকেট ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছিলেন। আমেরিকার বোলাররা ঠিকঠাক ভয় ধরাতে পারেনি অবশ্য। তবুও হৃদয় সমীহ করেছেন।
উইকেটে দাঁড়িয়ে বরাবরই ব্যস্ত হৃদয়। সেই ব্যস্ততা এদিনও ছিল। বড় শট খেলা যখন প্রায় ঝুকির কাজ, তখন তিনি রানিং বিটুইন দ্য উইকেট চালু রেখেছেন। রানের চাকাকে একেবারে থমকে যেতে দেননি। অবশ্য তেমনটি করতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের সাথে হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি। তাতে করে আউট হয়েছেন সাকিব।
নিজের সে ভুল পুষিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাই করে গেছেন হৃদয়। ৪০ বলে কষ্টসাধ্য এক অর্ধশতক পূর্ণ করেন হৃদয়। এরপর ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছেন। ১২৩ স্ট্রাইকরেটের এই ইনিংসটি মন্দের ভাল। বাকিরা যেখানে ব্যর্থতা নামক কাঁদায় নিমজ্জিত, সেখানে এমন ইনিংসকে দোষারোপ করবার থাকেনা তেমন কোন উপায়।
২ ছক্কা ও ৪টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। তার ৫৮ রানের ইনিংসের কল্যাণেই যুক্তরাষ্ট্রকে ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্র দিতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। নতুবা সংখ্যাটা আরও ছোট হলেও হতে পারত। বিপদের দিনে আরও একবার হৃদয় নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করলেন। এখন স্রেফ আরও শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষের নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করবার পালা।