৪৩ যেন শুধুই সংখ্যা,পারফর্ম্যান্সে নেই বয়সের কোনো ছাপ। বল করেছেন, উইকেট পেয়েছেন,তবে রান দেননি; গল্পটা ফ্রাঙ্ক সুবুগার। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে তারুণ্যের শক্তিই ফিরে পেয়েছেন উগান্ডার এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ফ্রাঙ্ক সুবুগা। তবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে তাঁর পারফর্ম্যান্সে মোটেও ছিল না বয়সের সেই ছাপ। বল করেছেন বেশ সাবলীল ভাবেই। গায়ানাতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দেখা মিললো অন্য এক ফ্রাঙ্ক সুবুগার।
দলের চারজন বোলারকে দিয়ে বল করানোর পর ডাক আসে ফ্রাঙ্ক সুবুগার। অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা বল তুলে দেন সুবুগার হাতে। তিনিও রাখেন সেই আস্থার প্রতিদান। বল হাতে করেন মিতব্যয়ী বোলিং।
সুবুগা এই ম্যাচে বল করেন মোট ৪ ওভার। যার মাঝে ২ ওভারই ছিল মেইডেন! আর রান দেয়ার বেলায় দেখা মিললো এক কিপ্টে সুবুগার, খরচ করেন মাত্র ৪ রান। সেই সাথে তুলে নেন ২ টি উইকেট। এক কথায় সুবুগার বল যেন ঠিকঠাক পড়তেই পারেননি পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটাররা।
পরিসংখ্যান যদিও সুবুগার পক্ষে না থাকলেও, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সব পরিসংখ্যানকেও হার মানালেন উগান্ডার ডান হাতি এই বোলার। তাছাড়া উগান্ডার অন্যান্য বোলাররাও এদিন চড়াও হয়েছিল পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটারদের উপর। উগান্ডার বোলাররা মাত্র ৭৭ রানে আটকে দেয় পাপুয়া নিউগিনিকে।
বোলারদের এমন পারফর্ম্যান্সের পর বলাই যায়, বিশ্বমঞ্চে বেশ ভালভাবেই মানিয়ে নিতে শুরু করেছে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে আসা উগান্ডা। প্রথম ম্যাচের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ব্রায়ান মাসাবার দল। আর সেই চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন বুড়ো সুবুগা।