জয়ের ইচ্ছে হার মেনেছে অভিজ্ঞতার কাছে

আরব আমিরাতের প্রতিটা ব্যাটার জানতেন তাদের পক্ষে ১৯১ রান তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। তবুও আরব আমিরাতের প্রতিটা ব্যাটারই বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করেছেন।

স্রেফ অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে হেরে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশ এ যাত্রায় পার পেয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ইতিবাচক মানসিকতার। হারার আগে না হারার। প্রতিটা বলে না হোক, অন্তত দুই বল অন্তর অন্তর একটা বাউন্ডারি হাঁকানোর নামই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। অন্তত এখনকার আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সেভাবেই খেলা হয়।

আরব আমিরাতের প্রতিটা ব্যাটার জানতেন তাদের পক্ষে ১৯১ রান তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। এমনকি আরব আমিরাত বাংলাদেশকে ১৪০-১৪৮ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চেয়েছিল। বাংলাদেশ হয়ত তেমনই এক রানের দ্বারপ্রান্তে আটকেও যেত, এ যাত্রায় পারভেজ হোসেন ইমনের কল্যাণে তারা বেঁচে ফিরেছে।

ইমনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ বলে ১০০ রান। আর বাকি ব্যাটাররা মিলে ৬৯ বলে ৭০ রান করেছে। এখানেই অন্যদিনগুলোতে বাংলাদেশের পক্ষে পরাজয় লেখা হয়। এদিনও হতে পারত। আরব আমিরাত যদি অতিরিক্ত ২১টি রান যোগ না করত।

আরব আমিরাতের প্রতিটা ব্যাটারই বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করেছেন। তারা বাউন্ডারি আদায় করা, দ্রুত রান নেওয়ার সেই মানসিকতা দেখিয়েছেন। মুহাম্মদ ওয়াসিমের ৩৯ বলে ৫৪, আসিফ খানের ২১ বলে ৪২, রাহুল চোপড়ার ২২ বলে ৪৫ অন্তত সে কথাই বলে।

পরিশেষে ক্রিকেট তো একটা দলগত খেলা- দিনশেষে প্রতিটা খেলোয়াড়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই জয়ের দেখা পেতে হয়। আর তাছাড়া আরব আমিরাতের বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেহায়েত কম। নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগও আসে না, বড় দলগুলোর সাথে।

কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ পায় ঠিকই, কিন্তু সেই সুযোগগুলোর সুফল আর ভোগ করা হয় না। মিডিওকার মেন্টালিটির নিচে চাপা পড়ে যায় সেসব। বাংলাদেশের সামনে তাই আরব আমিরাতও দেখিয়ে দিয়ে যায়, ইন্টেন্টই টি-টোয়েন্টি সব।

Share via
Copy link