একসময় ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়কত্বও করেছেন। ভারত নিশ্চয়ই তাঁকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে পারতো। কিংবা উন্মুক্ত চাঁদও হয়তো বড় স্বপ্ন দেখতে পারতেন ভারতকে নিয়ে। তবে সেটা আর ব্যাটে-বলে মিলেনি। ভারতের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার ক্রিকেট খেলতে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়। এবার অবশ্য নতুন এক ধারার চালু করলেন উন্মুক্ত চাঁদ। যেখানে তিনিই প্রথম।
ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এবার বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে যাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। এবারের বিগ ব্যাশে তিনি মাঠে নামবেন মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে। যদিও ভারতের কয়েকজন নারী ক্রিকেটার এর আগে বিগ ব্যাশে খেলেছেন। তবে ছেলেদের ক্রিকেটে চাঁদই প্রথম।
বিগ ব্যাশে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে চাঁদ বলেন, ‘আমি বিগ ব্যাশ দেখতে ভীষণ ভালবাসি। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এখানে ক্রিকেটাররা খেলতে আসছে। আমার মনে হয় এটা দারুণ একটা প্লাটফর্ম এবং আমি এখানে খেলতে চাই। সামনের বছরগুলোর দিকেও আমি তাকিয়ে আছি। আমি এখানে নিজের একটা নাম তৈরি করতে চাই এবং আশাকরি আমার দলের হয়ে শিরোপাও জিততে পারব।’
উন্মুক্ত চাঁদ ছিলেন ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২০১২ সালে তাঁর নেতৃত্বেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই ম্যাচে একটি দারুণ সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর দ্রুতই ভারতের ক্রিকেটে চাঁদের নাম ছড়িয়ে পড়ে। এক বছরের মাথায় ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়কও হন তিনি। এছাড়া দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের হয়েও আইপিএলে খেলার সুযোগ পান তিনি। তবে অফ ফর্মের কারণে আস্তে আস্তে আবার হারিয়ে যেতে শুরু করেন তিনি।
২০১৯ সালে চাঁদ ক্রিকেট খেলতে চলে যান উত্তরাখন্ডে। তবে সেখানেও নিজের ফর্ম ফিরে পাননি। শেষ পর্যন্ত ভারতের ক্রিকেট থেকেই নিজেকে সড়িয়ে নেন চাঁদ। নতুন করে ক্রিকেট ক্যারিয়ার খুঁজে পাওয়ার জন্য পাড়ি জমান আমেরিকায়। এখন আমেরিকার হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আমেরিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতোমধ্যে ৭৭ টি টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন।
ওদিকে মেলবোর্নের কোচ ডেভিড সাকেরও চাঁদকে দলে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘এমন একজন ক্রিকেটার যে কিনা আইপিএল খেলে এসেছে এবং নিজের দেশের বয়সভিত্তিক ও ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দিয়ছেন তাঁকে আমাদের দলে পাওয়াটা বেশ ভাগ্যের। এছাড়া ব্যাটসম্যান হিসেবেও উন্মুক্ত বেশ ডায়নামিক এবং তাঁর খেলাকে ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও আছে। আমাদের ধারণা দলের হয়ে তিনি নানারকম ভূমিকা পালন করতে পারবেন।’