ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ

বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টের ছিলো শেষ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় সুযোগ বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির দৌড়ে আরেক পা এগিয়ে যাওয়ার। অ্যাডাম জাম্পা, হ্যাজেলউডদের দাপুটে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির দৌড়ে এখন অনেকটাই এগিয়ে অজিরা।

স্রেফ নিয়ম রক্ষার ম্যাচ ছিলো।

বিদায় অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। জয় না হলেও শেষ ম্যাচে অন্তত লড়াই দেখার আশা ছিলো লোকেদের। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গেছে যেনো ভিন্ন এক প্রতীজ্ঞা নিয়ে। বিদায় বেলায় ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ন করে নাস্তানাবুদ হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টের ছিলো শেষ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় সুযোগ বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির দৌড়ে আরেক পা এগিয়ে যাওয়ার। অ্যাডাম জাম্পা, হ্যাজেলউডদের দাপুটে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির দৌড়ে এখন অনেকটাই এগিয়ে অজিরা।

মাত্র ৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নারদের তান্ডবে মুস্তাফিজদের পাত্তাই দেয়নি অজিরা। রান রেটের কথা মাথায় রেখেই শুরু থেকেই বাউন্ডারি মারতে থাকেন ফিঞ্চ, ওয়ার্নার। ৫ ওভারের আগেই দলের রান পঞ্চাশ পার! ফিঞ্চের আগ্রাসনের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং শিবির। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাসকিনের আঘাতে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ফিঞ্চ। তবে ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংসে জয়ের ভীতটাও গড়ে দেন অজি অধিনায়ক।

এরপর জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে ১৪ বলে ১৮ রানে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন ওয়ার্নার। তবে বাকি কাজটা সহজেই সেরে ফেলেন মিশেল মার্শ! ৮ উইকেট আর ১৩.৪ ওভার বাকি থাকতে বিশাল জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই পুরোনো দশা বাংলাদেশের। স্টার্ক, হ্যাজেলউডদের সামনে দাড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লিটন দাশ ফেরেন গোল্ডেন ডাকে, সৌম্য-মুশফিকরাও ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে। মাত্র ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে টাইগাররা। নাইম শেখ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মাঝে ২২ রানের জুটি হলেও দলীয় ৩২ রানে হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন নাইম।

চার বলের ব্যবধানে শূন্য রানেই আউট আফিফ হোসেনও! ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে শামিম পাটোয়ারির সাথে রিয়াদের ২৯ রানের জুটি ইঙ্গিত দেয় ঘুরে দাঁড়ানোর।

কিন্তু, জাম্পার ঘূর্ণিতে ৬২ রানে ৫ উইকেট থেকে ১১ রানের মাথায় দলীয় ৭৩ রানেই অলআউট বাংলাদেশ দল! মেহেদি গোল্ডেন ডাক, শামিম পাটোয়ারী সর্বোচ্চ ১৯ ও মাহমুদউল্লাহ করেন ১৬ রান। অজিদের পক্ষে অ্যাডাম জাম্পা ১৯ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ৭৩/১০ (১৫ ওভার); শামিম ১৯(১৮), নাইম ১৭(১৬), মাহমুদউল্লাহ ১৬(১৮); জাম্পা ৪-০-১৯-৫, হ্যাজেলউড ২-০-৮-২, স্টার্ক ৪-০-২১-২।

অস্ট্রেলিয়া – ৭৮/২ (৬.২ ওভার); ফিঞ্চ ৪০(২০), ওয়ার্নার ১৮(১৪), মার্শ ১৬(৫)* ; তাসকিন ৩.২-০-৩৬-১,

মুস্তাফিজ ২-০-৩২-০, শরিফুল ১-০-৯-১।

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া)।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...