দিনের পর দিন বসে থাকতে হয়েছিল বেঞ্চে, তরুণ সতীর্থরা যখন গেম টাইমের জন্য ক্লাব বদলেছেন, তিনি তখন রিয়াল মাদ্রিদের প্রেমে ডুবে সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন – বলছি ফেদেরিকো ভালভার্দের কথা। তাঁর সহস্র দিনের অপেক্ষা অবশ্য বৃথা যায়নি; বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের ভরসা তিনি, পারফরম করছেন বিশ্ব সেরাদের মতই।
ক্লাব ফুটবলে মৌসুম জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানোর পর চলতি কোপা আমেরিকাতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চলছেন এই মিডফিল্ডার। সবশেষ বলিভিয়া ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি, সেই সাথে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মাঠের সর্বত্র।
এদিন মোট ৫৪টি পাস খেলেছেন রিয়াল তারকা, আর তাঁর পাসিং অ্যাকুরেসি ছিল প্রায় ৯৫ভাগ। এছাড়া ১১টি সফল লং বল খেলেছিলেন তিনি, এর মধ্যে দুইটি আবার গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। ডুয়েল আর ইন্টারসেপশনের ক্ষেত্রেও তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা – সবমিলিয়ে নিঁখুত একটা ম্যাচ খেলেছেন এই উরুগুইয়ান।
এর আগের ম্যাচে গোলের দেখা না পেলেও বরাবরের মতই প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন তিনি। ফরোয়ার্ডদের গোলের সুযোগ তৈরি করে দেয়া কিংবা প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামিয়ে দেয়ার কাজটা দারুণভাবেই করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের অর্জনের লক্ষ্যে তাঁর কাঁধে ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে উরুগুয়ে।
অবশ্য গত মৌসুমে ভালভার্দে রিয়াল মাদ্রিদকে যেভাবে সেবা দিয়েছেন এরপর তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশার জান না বুনলে অন্যায় হতো বটে। না, তিনি খুব বেশি গোল করেননি; বেলিংহ্যাম কিংবা ভিনিসিয়াসের মত দলের মেইন ম্যানও হতে পারেননি। কিন্তু মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখেছিলেন; নব্বই মিনিট একটানা দৌড়ে বেড়িয়েছেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
বর্তমানে জাতীয় দলের অধিনায়ক ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার; সব ঠিক থাকলে আগামী দিনে রিয়াল মাদ্রিদের আর্মব্যান্ডও উঠবে তাঁর হাতে। এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা; দলের জন্য নিজের সর্বোচ্চ নিংড়ে দেয়ার পালা। তবেই কিংবদন্তি মিডফিল্ডারদের সাথে একই কাতারে নিজের নাম খুঁজে পাবেন তিনি।