অর্জনের খেরোখাতায় এক বিন্দুতে এসে মিলেছেন বিরাট কোহলি ও রিকি পন্টিং। ক্রিকেট দুনিয়ার দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার এখন একই রেকর্ডকে বানিয়েছেন মাথার উপরের ছাদ। আইসিসি ট্রফি জয়ে বিরাট-পন্টিং দু’জনের পাল্লা এখন সমান।
সর্বশেষ শিরোপা হিসেবে বিরাটের অর্জনের মুকুটে যুক্ত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৩ সালে তিনি জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম শিরোপা। সেটা ভারতের জন্যেও প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ইতিহাস।
এর আগে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপকেও উঁচিয়ে ধরেছিলেন বিরাট কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাটা তো তুললেন ক’দিন আগে ২০২৪ সালে। চারটি শিরোপার হিসেব তো পেলেন, তবে বিরাটের অর্জন এখানেই শেষ নয়।
যুবদের বিশ্বকাপের ট্রফিও আকাশ পানে উঁচিয়ে ধরেছিলেন বিরাট কোহলি। ২০০৮ সালে সেই দলের অধিনায়কত্বও করেছিলেন তিনি। আর অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গ আসলে সেখানে অবারিত ধারার মতই চলে আসবে রিকি পন্টিংয়ের নাম। কি অদ্ভুত ক্যারিশম্যাটিক এক চরিত্র ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া দলটাকে যেন ত্রাসের ভিন্ন নামে পরিণত করেছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে অধিনায়ক হিসেবে জেতেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ। একই ধারা বজায় থাকে ২০০৭ সালেও। তবে তার আগে ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপের শিরোপাতে হাত রেখেছিলেন প্রথমবারের মত। এই তিন বিশ্বকাপ ছাড়াও, ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উঠেছিল রিকি পন্টিংয়ের হাতে। ওই একটা দশক গোটা ক্রিকেট বিশ্ব অজিদের যমদূত পেয়ে ভয় পেয়েছে।
আর সেই ভয়কে কাজে লাগিয়ে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও নিজেদের করে নিয়েছিল রিকি পন্টিং ও তার দল। এখানে হয়ত বিতর্ক হতে পারে রিকি পন্টিংয়ে জেতা পাঁচটি ট্রফির ভার নিয়ে। কেননা বিরাটের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও যুব বিশ্বকাপ হয়ত খানিকটা ফিকে হয়ে যায় রিকি পন্টিংয়ের অর্জনের সামনে। তবুও আইসিসির পাঁচটি শিরোপা জেতা ক্রিকেটার তো তারা স্রেফ দু’জন।