দ্রুততম সময়ে এলিট ক্লাবে বিরাট

পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন সাকিব আল হাসান। তবুও রেকর্ড ব্রেকার কোহলি নতুন রেকর্ডে নিজের নাম তুলে ফেলেছেন। 

তবে পারফরম্যান্সে কোহলিই অবশ্য এগিয়ে গিয়েছেন, পান্তের ১১ বলে ৯ রানের ইনিংসের বিপরীতে তিনি খেলেছেন ৩৫ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও।

সিরিজ হারলেও ইংল্যান্ডের তারুণ্য নির্ভর দলটা চেষ্টার কমতি রাখেনি। নিয়মিত অধিনায়ক জশ বাটলারের জায়গায় দায়িত্ব পেয়ে হ্যারি ব্রুক নিজের সেরাটা দিয়েই লড়েছেন, ধারাবাহিক রান করে গিয়েছেন বেন ডাকেট। তাই তো সিরিজ হারলেও প্রাপ্তি আছেন অনেক। বিশেষ করে ২-০ তে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাঁরা, সেটা দীর্ঘদিন অনুপ্রেরণা দিবে ইংলিশদের।

সাকিব আল হাসান অবসরের দ্বারপ্রান্তে, দলের বিশেষজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে মেহেদি মিরাজ তাই নাম্বার ওয়ান চয়েজ হয়ে যাবেন। সেই লক্ষ্যে তিনি যে নিজেকে দারুণভাবে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন সেটাই দেখা গেলো কানপুরে। যদিও সাকিবের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে হলে তাঁকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

কানপুরে এখন টেস্টের যে হাল - তাতে ভারতের পাল্লাটাই বেশি ভারি। বাজবলও কি এতটা ভয়ানক? সম্ভবত নয়। বাজবল নয়, সময় এখন ভারতের - সেটাকে আপনি চাইলে যেকোনো নামেই ডাকতে পারেন - রোহিত গম্ভীরদের তাতে কিছুই যায় আসে না।

রান আউট হলে ১০ রানেই ফিরতেন কোহলি। টিকে গিয়ে আরও ৩৭ রান যোগ করেন কোহলি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন কিং কোহলি।

আরেকবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার সুযোগ হয়তো সাকিব কানপুরের পঞ্চম দিনেই পাবেন, কিংবা পাবেন না। না পেলে আরেকটা আক্ষেপ নিয়েই শেষ হবে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার। এমন হাজারো আক্ষেপ তো তাঁর নিত্য সঙ্গী, বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও।

দুইদিনে কানপুর টেস্ট জয় সম্ভব কি না সেটা তো সময়ই বলে দিবে। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট যে সাহসী ভাবনা ভাবতে পেরেছে, জয়ের পরিকল্পনা করতে পেরেছে সেটার মূল কারণ জয়সওয়ালের মত ক্রিকেটারই, পলকেই যিনি প্রতিপক্ষকে ধুমড়ে মুচড়ে দিতে জানেন।

সেই রাখাল বালক কানপুরের চতুর্থ দিনে আবারও সেই রিভিউ নিতে অধিনায়ককে বলছিলেন। কারণ, তাঁর মতে হাসান মাহমুদের ডেলিভারি উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে যাওয়ার আগে রোহিত শর্মার ব্যাটে আলতো করে চুমু খেয়ে গিয়েছে।