২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ-তিন তিনবার ফাইনালে উঠে হেরে যেতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে। মাঝে একাধিকবার সেমিফাইনালেও খেলেছিলেন তিনি। শিরোপার এত কাছে গিয়েও বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে সফলতা মিলেছে, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি ছোঁয়ার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর।
আর এর মধ্য দিয়ে এই তারকার ক্রিকেট ক্যারিয়ার পূর্ণ হয়েছে। সম্ভাব্য সব শিরোপা নিজের করে নিতে পেরেছেন তিনি; ব্যক্তিগত অর্জনের ক্ষেত্রেও কোন কিছুর কমতি নেই। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু, এরপর গত এক যুগের বেশি সময় ধরে তাঁর ঝুলিতে একটার পর একটা মাইলফলক যোগ হয়েছে।
২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন এই ব্যাটার, এশিয়া কাপ তো পাঁচ পাঁচবার নিজের করে নিয়েছেন। দলীয়ভাবে কেবল ছিল না সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিশ্ব জয়ের স্বীকৃতি এবার সেটাও মিলেছে।
এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির ক্রিকেটার অব দ্য ডিকেড হয়েছেন এই ডানহাতি, তিনবার বিশ্বকাপের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হয়েছেন যা ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আবার সবমিলিয়ে আইসিসির দশটি পুরষ্কার আছে তাঁর ক্যাবিনেটে, আর কোন ক্রিকেটারই এত সংখ্যক পুরষ্কার পাননি। আইসিসির টুর্নামেন্টে নক আউট স্টেজে রান করার ক্ষেত্রেও তাঁকে পিছনে ফেলতে পারেনি কেউ।
যুব দলে থাকতেই অবশ্য শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন কোহলি, অধিনায়ক হিসেবেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরেছিলেন তিনি। সদ্য টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়া এই ক্রিকেটারের আর আক্ষেপ বা অতপ্তির কিছু নেই। দলের ইয়াংস্টার হয়ে ট্রফি জিতেছেন তিনি, মেইনম্যান হয়ে জিতলেন – পরিপূর্ণ এক ক্রিকেট কাব্য যেন।
যদিও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ এখনো পাওয়া হয়নি ভারতীয় কিংবদন্তির। অবসরের আগে হয়তো সেটা জেতার দিকেই বেশি মনোযোগ দিবেন তিনি, টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানো অন্তত সেটারই ইঙ্গিত দেয়।