ম্যাচ নয়, বরং নেট সেশনটাই যেন ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য। পর পর দু’দিনের নেট থেকে পাওয়া গেল দু’টি বড় দু:সংবাদ। একদিন আগে নেটে ব্যাট করতে গিয়ে রোহিত শর্মা ডান হাতে চোট পেয়েছিলেন। সেমিফাইনালের আগের দিন সেই তালিকায় যোগ হল বিরাট কোহলির নাম।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগেরদিন অ্যাডিলেড ওভালে তখন নেটে ব্যাট করছিলেন কোহলি। বোলিংয়ে তখন ফাস্ট বোলার হার্শাল প্যাটেল। একটা ডেলিভারি কোহলির কুঁচকিতে গিয়ে আঘাত করে। তখনই কোহলি হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর যদিও, উঠে গিয়ে ছোট ছোট লাফ নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে ফেলেন।
অ্যাডিলেডের নেটে সাংবাদিকদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা দেখেছেন কতটা জোরে বলটা আঘাত করেছিল কোহলিকে। যদিও, নিজেকে দ্রুতই সামলে নিতে পেরেছেন কোহলিকে। দলসূত্রের খবর হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোহলিকে নিয়ে কোনো ধরণের শঙ্কা নেই।
এর আগে মঙ্গলবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে একটা বল এসে আঘাত হানে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ডান হাতে। বল ছুঁড়ছিলেন দলের থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট। ব্যাথায় তখনই কুঁকড়ে যান রোহিত। তখনই হাতে আইস ব্যাগ দেওয়া হয়। দলের ফিজিও তাঁকে দেখেছেন। মাইন্ড কোচ প্যাডি আপটনের সাথেও এই সময় রোহিতকে কথা বলতে দেখা যায়। নেট সেশনের মাঝ পথেই রোহিত ফিরে যান।
মিনিট চল্লিশ পর রোহিত আবারও ফিরে আসেন। প্যাড আপ হয়ে আবারও ব্যাটিং করেন। বোঝাই যাচ্ছিল, আইস ব্যাগে কাজ হয়েছে তাঁর। ফিরে এসে ১৫ মিনিটের মত ব্যাটিং করেন এই ভারতীয় অধিনায়ক। তাঁকে নিয়েও কোনো শঙ্কা নেই। সেই তুলনায় বিরাট কোহলির ব্যাথা আরও সামান্য।
আর বিরাটের থাকাটা জরুরীও। চলতি বিশ্বকাপে কোনো সন্দেহ ছাড়াই তিনি ভারতের সেরা ব্যাটার। রান পেয়েছেন প্রায় সবগুলো ম্যাচেই। পাঁচটা ম্যাচ খেলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনটিতেই। বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। পাঁচ ম্যাচে ২৪৬ রান করেন ১২৩ গড়ে, হ্যাঁ – এই আসরে কোহলিকে আউট করা এতটাই শক্ত। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৪০-এর কাছাকাছি। এমন একজন সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে নিশ্চয়ই ঝুঁকিতে ফেলতে চাইবে না ভারত।
সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, টি-টোয়েন্টিতে যারা এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা। ফলে ভারত তো চাইবেই নিজেদের পূর্ণ শক্তি নিয়েই নামতে।