এই মুহুর্তে ভারত তো বটেই বিশ্বক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। অবশ্য তাঁর যা পরিসংখ্যান তাতে তাঁকে হয়তো এখনই আপনি সর্বকালের সেরাদের একজন বলে দাবি করতে পারে। দাবি করাই স্বাভাবিক। একজন ব্যাটসম্যান যার টি-টোয়েন্টি গড় ৫২.৬৫,স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৪০। ঠিক কল্পনা করলেও সংখ্যাগুলো বাড়াবাড়ি মনে হয়। তবে এগুলোকে ডাল-ভাতে পরিণত করেছেন ভারতের এই অধিনায়ক।
অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেও এরপর থেকে নিয়মিত তিন নম্বরে কিংবা ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে কখনো কখনো চারেও ব্যাট করেছেন তিনি। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে তিনি মোট সাত বার ওপেন ও করেছেন।
তবে এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি তে তাঁর ওপেন করা একটা বিশেষ বার্তা দেয়। জানা যায় এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারতের হয়ে ওপেন করবেন তিনি। যদিও সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে কে এল রাহুল ওপেন করেন আরেক ওপেনার রোহিত শার্মার সাথে। তবে চার ম্যাচে তাঁর ব্যর্থতার পর অধিনায়ক নিজেই কাঁধে তুলেন নেন ওপেন করার দায়িত্ব।
এই বিষয়ে তিনি ম্যাচের পর বলেন, ‘হ্যা,আমি আইপিএলেও ওপেন করার কথা ভাবছি। দেখুন আমি আগে বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করেছি তবে এখন আমাদের একটা সলিড মিডল অর্ডার আছে। এখন জরুরি হচ্ছে দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান যেনো বেশি বল খেলার সুযোগ পায়। তাই আমার রোহিতের সাথেই ওপেন করা উচিৎ। আমরা যদি একটা বড় পার্টনারশিপ করতে পারি এবং আমরা সেট হলে ,আমাদের যে কেও একজন বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে পারবই। আমরা এটাই চাইছি। তাছাড়া এতে পরের ব্যাটসম্যানরাও আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করতে পারবে। আমাদের যেকোনো একজন ক্রিজে থাকলে বাকিরা আরো স্বাধীনভাবে ব্যাট করতে পারবে। এটা দলের জন্যই ভালো হবে এবং আমরা বিশ্বকাপেও এমনই করতে চাই।’
এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শার্মার সাথে বেশ পার্টনারশিপই করেন। একদিনে রোহিত শার্মা খেলেন ৩৪ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আর বিরাট ৫২ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থেকে পুরো ম্যাচ শেষ করে আসেন। ফলে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের বিশাল স্কোর করে ভারত। তবে বিশ্বকাপের আগে এটাই ভারতের শেষ টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা থাকলেও এখন ভারত আরো কিছু ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছে। কেননা তাঁর কোহলি আর রোহিতকে বিশ্বকাপের আগে আরো কিছু ম্যাচ ওপেন করার সুযোগ দিতে চায়।
এই বিষয়ে কোহলি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে কিছু ম্যাচ একসাথে ওপেন করার সুযোগ পেলে ভালো হবে। তবে আমাদের সবই মোটামুটি গুছানো। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। যেভাবে সবকিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে আমরা খুবই খুশি।’
ফলে দীর্ঘসময় ধরে তিনে খেলা কোহলিকে এখন থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেন করতেই দেখা যাবে বলে আশা করা যায়। অবশ্য পজিশন যাইহোক, বিরাট কোহলির ব্যাট আটকে রাখা তো আর সহজ কথা না। এখন দেখার বিষয় ভারতের এই পরিকল্পনা বিশ্বকাপে ভারতকে কি ফল এনে দেয়।