দীর্ঘ এক যুগ পরে ঘরোয়া লিগ মাতাতে বিজয় হাজারে ট্রফিতে মাঠে নামছেন বিরাট কোহলি। নিজের জন্মস্থান দিল্লির হয়েই এই টুর্নামেন্টে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। সর্বশেষ ২০০৯-১০ মৌসুমে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন পর ঘরোয়া লিগ খেলতে যাওয়া বিরাট কে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় ক্রিকেটপাড়ায় শুরু হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। কত রুপির বিনিময়ে ঘরোয়া লিগে মাঠে নামতে রাজি হয়েছেন ক্রিকেটের এই মহাতারকা?
বিষয়টা মোটেই ঐচ্ছিক কিছু না। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) নতুন নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই অন্তত দুই রাউন্ড লিস্ট ‘এ’ প্রতিযোগিতায় খেলতে হবে। সেই বাধ্যবাধকতা থেকেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা কিংবা ঋষভ পান্থদের মতো তারকাদের দেখা মিলবে এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে।
বিসিসিআইয়ের নির্ধারিত কাঠামো অনুযায়ী যাঁরা ২০ বা তার কম লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন, তাঁরা প্রতি ম্যাচে পান চল্লিশ হাজার রুপি। ২১ থেকে ৪০টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি পঞ্চাশ হাজার রুপি। আর ৪১টির বেশি লিস্ট ‘এ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা পান সর্বোচ্চ ষাট হাজার রুপি।

বিরাট কোহলির লিস্ট এ অভিজ্ঞতা আলাদা করে বলার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ৩৪২ টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি পড়ছেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের ক্যাটাগরিতে। দিল্লীর হয়ে প্রতিটি ম্যাচে তাঁর আয় হবে ষাট হাজার রুপি।
নির্ধারিত তিনটি ম্যাচ খেললে কেবল বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে বিরাট আয় করতে যাচ্ছেন প্রায় এক লাখ আশি হাজার ভারতীয় রুপি। যা নিয়মিত ঘরোয়া লিগ খেলা খেলোয়াড়দের থেকেও বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে কেবল তিনটি ম্যাচেই মাঠে নামতে দেখা যাবে কিং কোহলিকে। নিজের প্রথম ম্যাচ স্বরূপ ২৪ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে মাঠ মাতাবেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবেন ২৬ ডিসেম্বর, গুজরাটের বিপক্ষে। নতুন বছরে নিজের প্রথম ম্যাচ হিসেবে ৬ জানুয়ারি রেলওয়েজ এর বিপক্ষে মাঠে নামবেন বিরাট।

তাঁর চিরপরিচিত চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই খেলবেন তিনটি ম্যাচ। ঘরোয়া লিগে রাজার প্রত্যাবর্তন আর ব্যাঙ্গালুরুতে দর্শকদের বিরাট উন্মাদনা – সব মিলিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফি যে নতুন প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।










