যখনই বিরাট কোহলিকে প্রশ্নের মুখে ছুড়ে দেওয়া হয়, তখনই তিনি নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন মাঠে। ব্যত্যয় ঘটেনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ গড় তার অজিদের মাটিতেই। সেই ২০১১ সালে প্রথমবার পা রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর সেটাকেই যেন নিজের পছন্দের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আরও একটি সেঞ্চুরি লেখা হয়ে গেছে তার নামের পাশে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও তিনি। দশটি সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। পার্থ টেস্টের সেঞ্চুরি অবশ্য বাকি সবগুলোর চাইতে একটু ভিন্ন বটে।
প্রথম ইনিংসেই হাতের ক্যাচ ফেলেছেন বিরাট। তখন থেকেই সমালোচনা দ্বিগুণ ঘনিভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক পারফরমেন্স তার পক্ষে ছিল না আগে থেকেই। গেল বছরের জুলাইয়ে শেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন বিরাট। এরপর অবশ্য দুইটি ফিফটি করেছিলেন। কিন্তু বাকি ইনিংসগুলোতে প্রত্যাশার ধারে-কাছেও পৌঁছাতে পারছিলেন না।
পার্থেও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতাই হয়েছে তার সঙ্গী। ৫ রানে তিনি ফিরেছিলেন প্যাভিলিয়নে। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছেন তিনি, সেটা এক চিরন্তন সত্য। তবে শেষ হওয়ার আগে ফুরিয়ে যাননি বিরাট সেটাই প্রমাণ করলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। যশ্বসী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলের গড়ে দেওয়া ভীতের উপর দাঁড়িয়ে শতক হাঁকিয়ে গেলেন বিরাট।
উপভোগ করে গেলেন নিজের ব্যাটিং। তার শতক ভারতকে এনে দিয়েছে ৫৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ। এই সংগ্রহ পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বিরাট অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ম্যাচ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাই করেছেন ব্যাট হাতে।
নিজের ক্যারিয়ারের ৮১তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বুকে সপ্তম সেঞ্চুরি। জয়সওয়াল দেখিয়েছেন তারুণ্যের ঝলক। বিরাট দেখিয়ে গেলেন অভিজ্ঞতার দৃঢ়তা। বিরাট কোহলি একেবারেই ফুরিয়ে যাননি। এখনও তার অনেকটাই দেওয়ার বাকি।