জার্সি নম্বর ১৮, সেজন্যই হয়তো ১৮ই মে খেলতে নামলেই চওড়া হয়ে উঠে বিরাট কোহলির ব্যাট। গত বছর এই তারিখে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি, আবার ২০১৬ সালেও একই দিনে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছিলেন। এছাড়া ২০১৩ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষেও দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর কাছ থেকে, ব্যতিক্রম হয়নি এবারও – মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছেন বটে।
চলতি আইপিএলে এই ব্যাটার অতিমানবীয় রূপ ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যে ৭০০ এর বেশি রান করেছেন তিনি, ব্যাটিং গড় প্রায় ৬৫! এমন ফর্মে থাকা একজন ডু অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠবেব সেটাই প্রত্যাশিত। হয়েছেও তাই, ওপেনিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের বিপক্ষে।
এদিন ২৯ বল মোকাবিলা করে ৪৭ রান করেছেন এই ডানহাতি, তিন চার ও চার ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ছিল নান্দনিক সব শটের প্রদর্শনী। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে তাঁর অনবদ্য ৭৮ রানের জুটির কল্যাণেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
প্লে-অফে যেতে হলে শুধু জিতলেই হবে না, বরং ১৮ রানের ব্যবধানে জিততে হবে – এই সমীকরণ সামনে রেখে ব্যাট করতে এসেছিলেন কোহলি। শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত, প্রথম নয় বল থেকেই ১৯ রান আদায় করেছিলেন তিনি। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি হানা দেয় তখনি, ফলে মোমেন্টাম কিছুটা হলেও সরে যায়।
বৃষ্টির কারণে উইকেট অনেক স্লো হয়ে গিয়েছিল, চেন্নাইয়ের স্পিনাররাও আঁটসাঁট লাইনে বল করেছেন। এত এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন এই তারকা। যদিও ভাগ্য সহায় হয়নি, বাউন্ডারি লাইনে ড্যারেল মিশেলের অসাধারণ এক ক্যাচের সৌজন্যে থামতে হয় তাঁকে। তা নাহলে নিশ্চিতভাবেই চিন্নাস্বামীতে তান্ডব চালাতেন তিনি, তাঁর সেই সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই।
বছরের পর বছর ব্যাঙ্গালুরুকে প্রায় একা হাতে টেনে চলেছেন এই মহারথী। চলতি আসরেও ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপের একমাত্র ভরসা হয়েছিলেন তিনি। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে হেরে গেলেই সব শেষ, জিতলেও হয়তো বাড়ি ফেরা লাগবে – কিন্তু তাঁর বীরত্ব তাতে ম্লান হবে না একটুও।