মুহূর্তের মধ্যে চেহারার ভাবভঙ্গি বদলে গেলো বিরাট কোহলির। রবীন্দ্র জাদেজার সাথে বেশ হাস্যজ্জ্বল ভঙ্গিমায় কথা বলছিলেন। কিন্তু দৃশ্যপটে খলিল আহমেদের আগমন হওয়ার সাথে সাথে বিরাটের মুখের হাসি হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
বেশ রাগান্বিত হয়ে কথা বলতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। কেন তিনি এমন আচরণ করছেন, সে বিষয়টি বুঝতে হলে ফিরতে হবে ঘটনার একেবারে শুরুতে। চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বিরাটের ব্যাঙ্গালুরু।
চিপকের ময়দানে ১৭ বছর ধরে চলে আসা পরাজয়ের ধারার অবসান ঘটল অবশেষে। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলিকে উদ্দেশ্য করে একটা বাউন্সার ছুড়েছিলেন চেন্নাইয়ের পেসার খলিল। বাউন্সার ছুড়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। বিরাটের দিকে খানিকটা রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে থাকেন খলিল। ফাস্ট বোলারদের চিরায়ত আগ্রাসনের প্রতিচ্ছবি।
কিন্তু সেই রুদ্র চাহনি পছন্দ হয়নি বিরাটের। সেটা আন্দাজ করে ফেলেছিলেন খলিল। তাইতো ম্যাচ শেষে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন পরিস্থিতি হালকা করবার উদ্দেশ্যে। যদিও উলটো পরিস্থিতি যেন আরও খানিকটা ঘোলাটে হল। কিন্তু বিরাট মাঠের মধ্যে যতটা আগ্রাসী মাঠের বাইরে তো তিনি ততটাই শান্ত। তবে কেন তিনি এভাবে রেগে রেগে কথা বললেন!
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার পর অবশ্য দুই ভিন্ন মত প্রকাশ পাচ্ছে। কেউ কেউ ধরেই নিচ্ছেন সেই বাউন্সারের ক্ষোভটাই ঝেড়েছেন বিরাট। কিন্তু বিরাট ঠিক কি বলছিলেন সেটা স্পষ্ট ছিল না, তাছাড়া কথোপকথনের এক পর্যায়ে খলিল মুখ লুকানোর চেষ্টা করলেন।
যেন বড় ভাইয়ের অভিমান থেকে নিজেকে একটু আড়াল করে নেওয়ার চেষ্টা। ওই একটা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিষয়টির ভাবার্থ পরিবর্তন করে দিতে সহয়তা করেছে বটে। বাইশ গজে দুইজন খেলোয়াড়ের মধ্যে ঘটে অনেক কিছুই। কিন্তু সেই ঘটনার রেষ নিয়ে বাসায় কেউ ফেরে না দিনশেষে। তবে হাসি-ঠাট্টায় অবশ্য ঘটনাগুলো স্থান পায়। বিরাট-খলিল সম্ভবত তেমন কোন এক মজার ছলে অভিমান প্রকাশের এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা।