মাত্র চারটে টেস্ট ম্যাচ। তাতে চারটে শতরান সহ ৭৭৪ রান। যদি খুব ভুল না করি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিনিদাদের ডাবল সেঞ্চুরিটা এসেছিল অসম্ভব দাঁতের ব্যথাকে সঙ্গী করে। এটাই ছিল একনজরে সুনীল গাভাস্কারের অভিষেক সিরিজ। সময়টা ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি।
তো এহেন ব্যাটসম্যান, তর্কহীন ভাবে সর্বকালের সেরা টেস্ট ওপেনারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতরানটা এল ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ভেজা পিচে বব উইলিস ও ডেরেক আন্ডারউডকে খেলে। সময়টা ১৯৭৪। অর্থাৎ মিস্টার গাভাস্কারকে চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতরানে যেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় তিন বছর।
শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ১৯৯০ (৮৯ এর শেষে একটা ম্যাচ) এ এবং প্রথম শতরান ১৯৯৪ সালে। যদিও এই সময়টায় উনি অনেকটা নিচে দিকে ব্যাটিং করতেন। কিন্তু টেস্টে ২০১৩র নভেম্বরে শেষ বার মাঠে নামেন আর শেষ শতরান ২০১১ সালের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাতে।
সৌরভ গাঙ্গুলী। একটা সময় গড়ে প্রতি নয়টা সীমিত ওভারের ম্যাচে একটা করে সেঞ্চুরির ইনিংস ছিল। কিন্তু শেষ প্রায় ৭৫/ ৮০টা সীমিত ওভারের ম্যাচে একটাও শতরান করতে পারেননি।
অর্থাৎ, সেঞ্চুরি খরা প্রতিটা বড় ব্যাটসম্যানের জীবনেই এসেছে আবার কেটেও গেছে। হ্যাঁ, ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে গেলে হয়তো কোন একটা ফরম্যাটে সেঞ্চুরি আসা বন্ধ হয়ে গেছে, বাকিটায় সেঞ্চুরি এসেছে। যেটা শচীন কিংবা সৌরভ গাঙ্গুলির ক্ষেত্রে হয়েছিল।
কিন্তু, বিরাট কোহলি, যাঁর দীর্ঘদিন শতরান না পাওয়া নিয়ে এত আলোচনা তিনি এখনো তাঁর কেরিয়ারের মধ্যগগনে। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায় তাঁর ব্যাটে শতরান আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর এই ব্যাডপ্যাচটা কোনো ভাবেই তাঁর কাছে দীর্ঘায়িত হবে না।
আর বিরাটের খেলা দেখে কখনো মনে হচ্ছে না যে তিনি আউট অফ টাচ। যেটা হচ্ছে সেটা হলো অনেক ক্ষেত্রেই ভাল খেলতে খেলতে হঠাৎ আউট হয়ে যাচ্ছেন। আর সেটা কেন হচ্ছে সেটা তাঁর থেকে ভাল কেউ জানে না। আর সেই কারণেই তার সমাধান খুঁজে তিনি খুব তাড়াতাড়ি স্বমহিমায় ফিরবেন।
শুধু প্রচুর রান করেছেন বলেই বিরাট কোহলিরা মহান ব্যাটসম্যান নন, তাঁরা মহান কারন তাঁরা খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসতে জানেন এবং পারেন। তাই সমালোচনা না করে প্রস্তুত হয়ে যান তাঁর পরের শতরানের উৎসবে মেতে ওঠার জন্য।