নেহাল ওয়াধেরা, ভারতের পাইপলাইনে থাকা তরুণ প্রতিভাবানদের মধ্যে খানিকটা অচেনা একটা নাম। তবে যারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন তাঁদের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে তাঁর কেননা, ২০২৩ সালের আইপিএলে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন তিনি, চিনিয়েছিলেন নিজের জাত। যদিও চলতি মৌসুমে সুযোগ পাওয়ার জন্য লম্বা একটা সময় তাঁকে বসে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে।
শেষমেশ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে একাদশে জায়গা পান নেহাল, প্রথম সুযোগই বাজিমাত করেন তিনি। ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন লখনৌর বিপক্ষেও, দলের বিপর্যয়ের মুখে খেলেছেন দায়িত্বশীল ইনিংস। তাঁর ব্যাটিংয়ের কারণেই শুরুর ব্যাটিং ধ্বস সত্ত্বেও লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
এদিন ছয় নম্বরে নেমে ৪১ বল মোকাবিলা করেছিলেন এই ব্যাটার, রান করেছেন ৪৬। চার চারের পাশাপাশি দুই ছয়ে সাজানো ইনিংসটি সংখ্যার হিসেবে আহামরি মনে হবে না তা নিশ্চিত। তবে ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, বিশেষ করে বিপদের মুখে যেভাবে হাল ধরেছিলেন তিনি সেটি নজর কেড়েছে সবারই।
লখনৌর বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণে মাত্র ২৭ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল মুম্বাই। এরপর বাইশ গজে আসেন এই বাঁ-হাতি, বাড়তি কিছু করার চেষ্টা না করে সঙ্গ দেন সেট হয়ে যাওয়া ঈশান কিষাণকে। দু’জনের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় পেরিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
অবশ্য আধুনিক টি-টোয়েন্টি অনুযায়ী, তরুণ এই ক্রিকেটারের ইনিংস অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। যখনি হাত খুলে খেলতে তখনি আউট হয়ে যাওয়ায় তাঁর শতভাগ পায়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে সমালোচনার চেয়ে বোধহয় তিনি বাহবা বেশি পাবেন। এখনো তো শেখার সময়, তাই কি করতে পারেননি সেদিকটা দেখিয়ে দেয়ার আগে কি করেছেন সেটার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে।
চলতি আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন উদীয়মান এই তারকা। কাউন্টার অ্যাটাকিং অ্যাপ্রোচে যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তা অনেকদিন মনে রাখার মত। লখনৌর বিপক্ষে আবার দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি, অর্থাৎ মানতেই হবে পরিস্থিতি বিচার করে খেলার সামর্থ্য রয়েছে তাঁর।