পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন প্রায় বছর তিনেক আগে, ২০২০ সালে। ৩৭ বছর বয়সী পেসার ওয়াহাব রিয়াজের জন্য এরপর থেকেই জাতীয় দলের দুয়ার এক প্রকার বন্ধ।
তারপরও ভারতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে চান এ পেসার। যদিও পাকিস্তানের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া, না পাওয়ার ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকটা ভাগ্যের উপরে।
সম্প্রতি ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ পেসার বলেন, ‘আমি অবশ্যই আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে চাই। যদি ভাগ্য আমার সাথে থাকে, তাহলে কেন এই স্বপ্ন দেখবো না?’
আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপ হবে ভারতের মাটিতে। আর ওয়াহাব রিয়াজের অতীত পরিসংখ্যান বলে, এই ভারতের মাটিতেই এক যুগ আগের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বোলিং আগ্রাসন দেখিয়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ফাইফারের দেখা। তাই এই ‘পয়া’ মাটিতে ওয়াহাব রিয়াজ আবারো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন।
তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। শেষ কয়েক বছরে ওয়াহাব রিয়াজ জাতীয় দলের রাডার থেকেই সরে গিয়েছেন। এই মুহূর্তে শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিমদের নিয়ে পেস বোলিংয়ে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল পাকিস্তান।
তাই অতি নাটকীয় কিছু না হলে ওয়াহাব রিয়াজের আগামী বিশ্বকাপে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাছাড়া, ওয়াহাব রিয়াজের বয়সটাও বেড়েছে। এই ৩৭ বছর বয়সী ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে দলে নিশ্চিতভাবেই ঝুঁকি বাড়াতে চাইবে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
যদিও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসরগুলোতে নিয়মিতই খেলছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেছিলেন ওয়াহাব। পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) খুব একটা খারাপ করেননি। ১১ ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও মিতব্যায়ী বোলিং করেছিলেন।
ওয়াহাব রিয়াজকে অবশ্য এ সময়কালের মাঝে রাজনীতির ময়দানেও দেখা গিয়েছে। শেষ প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে পাঞ্জাব প্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি।
তবে রাজনীতিতে সক্রিয় ওয়াহাব রিয়াজের কাছে এখনো ক্রিকেটই সবার প্রথমে। তাই এই ৩৭ বছর বয়সে এসেও ঘরোয়া ক্রিকেট মিস দেন না। দারুণ প্রতাপে খেলে যাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটও। সেই ধারাবাহিকতায় তাই আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলতে যান বাঁহাতি এ পেসার। যদিও সবটাই ছেড়ে দিয়েছেন ভাগ্যের উপর।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে মোট ২৩৭ টি পেয়েছেন এ পেসার। এর মধ্যে ৯১ ওয়ানডেতে ১২০, ২৭ টেস্টে ৮৩ আর ৩৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৪ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।