এই তো সেদিন আনকোড়া রিশাদ হোসেনের কাছে তুলো-ধুনো হয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। কি বেদম প্রহারই না সহ্য করতে হয়েছিল তাকে সেবার। সেদিন হাসারাঙ্গাকে বড্ড অসহায় মনে হয়েছিল। তিনি নিজেও ছিলেন দিশেহারা। কিন্তু সেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা তার এখনও বজায় থাকলে চলবে না। কেননা হাসারাঙ্গাকেই যে দিতে হবে শ্রীলঙ্কা দলের নেতৃত্ব।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দলনেতা। অন্যতম পারফর্মারও তিনিই। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন এই লেগ স্পিনার। ৩১ উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে। তার উপরে রয়েছেন যথাক্রমে ৩৫ উইকেট নিয়ে অজন্তা মেন্ডিস ও ৩৮ উইকেট নিয়ে লাসিথ মালিঙ্গা।
এই দুইজনই চলে গেছেন অবসরে। অতএব হাসারাঙ্গার কাছে সুযোগ রয়েছে শীর্ষস্থান দখল করবার। বাকিদের চাইতে দ্রুততম সময়েই সেই মাইল ফলক ছুঁয়ে দেখার সুযোগও রয়েছে তার সামনে। তিনি নিশ্চয়ই শীর্ষস্থান দখলের চেষ্টাই করবেন। অবশ্য সেই চেষ্টার যে কোন বিকল্প নেই। কেননা সে পথে অগ্রসর হলে তা শ্রীলঙ্কার জন্যই হবে ফলপ্রসূ।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। বল হাতে তিনিই দলের পক্ষে ব্রেকথ্রু এনে দেবেন। তার ঘূর্ণি জাদুতে আচ্ছন্ন করে রাখবেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। তেমনটিই হয়ত তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে সকলে। তবে আরও একটি দিক থেকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দলের জয়ে রাখতে পারেন অবদান।
শেষের দিকে পেশি শক্তির ব্যবহারটা দারুণভাবে করতে পারেন হাসারাঙ্গা। টি-টোয়েন্টিতে ১৩০ স্ট্রাইকরেট অন্তত সেই বিষয়টিই জানান দেয়। অন্তিম মুহূর্তে ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতে পারেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কার এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা অনেকটাই নির্ভর করবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার উপর।
প্রথমত তিনি অধিনায়ক। তাকে নিতে হবে সঠিক সব সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয়ত তার সামর্থ্য রয়েছে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার। দুইদিক থেকেই তার উপর বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে সকলের। সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবেন হাসারাঙ্গা তা হয়ত সময়ই বলে দেবে।