জোয়েল উইলসন চাইলে নিখুঁত আম্পায়ারিংটা শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম দিনেই দু’টো শিশুতোষ ভুল করলেন উইলসন। আর তৃতীয় আম্পায়ারে এই দুই ভুলের মাশুল প্রথমে অস্ট্রেলিয়া গুণল এরপর গুণল ভারত।
আর এই যখন অবস্থা তখন ধারাভাষ্যকাররাও বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকতের নির্ভুলতাকে আদর্শ মানলেন। এর মধ্যে আছেন হার্শা ভোগলেও, তিনি মেলবোর্ন টেস্টে যশস্বী জয়সওয়ালকে ডিআরএস থেকে আউট দেওয়ার প্রসঙ্গে এতদিন নীরব থাকলেও এতদিনে এসে বললেন, সৈকত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটাই ছিল সঠিক।
এবার ঘটনার সূত্রপাত হয় ওয়াশিংটন সুন্দরের আউট থেকে। ঠিক জয়সওয়ালকে করা সেই শর্ট ডেলিভারিরই ড্রেস রিহার্সেল যেন। এবারও বোলার প্যাট কামিন্স। ওয়াশিংটন পুল করতে গিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়া দল আবেদন করে। সৈকত নাকচ করে দেন, প্যাট কামিন্স ডিআরএসের দ্বারস্থ হন।
তবে টেলিভিশন রিপ্লেতে কোনো ডিফ্লেকশন ছিল না। অস্ট্রেলিয়া দলও বাস্তবতা মেনে যার যার ফিল্ডিং পজিশনে ফিরে যান। কিন্তু, তখনই তাঁদের আনন্দে ভাসাতে এগিয়ে আসেন জো উইলসন।
তাঁর হাতে মাঠের সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দেওয়ার মত যথেষ্ট প্রমাণ না থাকার পরও আউটের সিদ্ধান্ত জানান। স্নিকো মিটার বা আল্ট্রা এজে স্পষ্ট কোনো কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।
তারপরও কেন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে উইলসন রায় দিলেন, সেটা আসলে তিনিই ভাল বলতে পারবেন। খোদ অজিরাও নট-আউট মেনে নিয়েছিল। এর আগে বিরাট কোহলি প্রথম বলে স্লিপে প্রথম বলে ক্যাচ আউট হওয়ার পর সেটা নাকচ করে দিয়েছিলেন এই আম্পায়ার। এবারও অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন সৈকত।
ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে উইলসন আর সৈকতের পার্থক্যটা স্পষ্ট করলেন। বললেন, ‘জয়সওয়াল ইস্যুতে বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত সঠিক ছিলেন। স্নিকো মিটারে কিছু না থাকলে পরিস্কার ডিভিয়েশন দেখা গেছে। তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্নিকো মিটার দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ওয়াশিংটন সুন্দরের আউট হওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। ডিসিশন ওভারটার্ন করার মত ডিভিয়েশন বা স্নিকো মিটারের প্রমাণ কিছুই এখানে ছিল না।’
সুর মেলালেন মার্ক ওয়াহ। সাবেক এই অজি ওপেনার বলেন, ‘জওয়াসওয়ালের ঘটনাটা পরিস্কার আউট ছিল। সেটা নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।’
দুই টেস্ট মিলিয়ে তিনটা ব্লান্ডার করলেন জোয়েল উইলসন। আর তিনবারই তাঁর সাথে জড়িয়ে থাকলে বাংলাদেশের সৈকতের নাম।