১৯৯২ এর পর পেড়িয়ে গেছে ৩১ বছর। কিন্তু মেলবোর্নে সেই ইমরান খানের বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মত মুহূর্ত পাকিস্তান ক্রিকেটে আর আসেনি। ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুসদের উত্তরসূরীরা এরপর ২০১১ সালে সেমিফাইনাল খেললেও সেখানেই থেমে যায় তাদের যাত্রা। তবে ১৯৯২ এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন ৩১ বছরের আক্ষেপ ঘুচবে এবার বাবর আজমদের হাত ধরে।
সবশেষ ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেই সোনালি প্রজন্মের পর অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার এসেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটে। কিন্তু বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের কাছে আর পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান।
২০১১ সালে উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলো পাকিস্তান। কিন্তু সেবার ভারতের কাছে হেরে শেষ চারেই শেষ হয় পাকিস্তানের যাত্রা। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল আর ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রথম পর্বেই শেষ হয় পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা।
তবে এবারের পাকিস্তান দলকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী আকরাম। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা ব্যাটার বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটাও আছে দারুণ ফর্মে। বিশেষ করে পাকিস্তানের টপ অর্ডারের সবাই কিছুদিন আগেই ছিলেন আইসিসি র্যাংকিংয়ের সেরা পাঁচে।
এছাড়াও মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফদের নিয়ে গড়া দলটাকে ফেভারিটের তালিকায় না রেখে উপায়ও নেই। এছাড়াও কন্ডিশনও থাকবে পাকিস্তানের পক্ষে। উপমহাদেশে খেলা হওয়ায় তা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের জন্যও দারুণ সহায়ক হবে বলে মত ওয়াসিমের।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমাদের ভালো একটা দল আছে। দারুণ এই ওয়ানডে দলটার নেতৃত্বে আছে আধুনিক গ্রেট বাবর আজম। যদি তারা ফিট থাকতে পারে এবং পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারে তাহলে বিশ্বকাপে তাদের ভালো সুযোগ আছে কারণ এটা খেলা হবে আমাদের মত কন্ডিশনেই।’
২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও এরপর থেকেই দারুণ ফর্মে আছে বাবর আজমের দল। বর্তমানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ব্যাট হাতেও দারুণ ফর্মে বাবর। নিজের ১৮ ওয়ানডে শতকের আটটিই করেছেন এই সময়ে।
ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, বর্তমান ফর্মের চেয়েও আরো ভালো করার সামর্থ্য আছে বাবরের। বিশ্বকাপে বাবরকে আরো ভয়ংকর রূপে দেখার প্রত্যাশা ‘সুলতান অফ সুইং’ খ্যাত এই পেসারের।
আইসিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম বলেন, ‘আমার মনে হয় সে আরো ভালো করবে কারণ সে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। সে যাই করে, পুরো দেশ তাকে অনুসরণ করে। টেস্ট হোক বা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, সে মানুষকে স্টেডিয়ামে নিয়ে আসে। আমার মতে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কাভার ড্রাইভও সে করে।’