Social Media

Light
Dark

নয়ডা কাণ্ড, টাকার কাছে বিপন্ন টেস্ট ক্রিকেট!

ভারতের নয়ডাতে সম্ভবদ আদৌ আর কখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। স্রেফ কিছু টাকা রোজগার করতেই এই মাঠে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। যার ফলাফল হয়েছে ভয়াবহ। 

ভারতের নয়ডাতে সম্ভবত আদৌ আর কখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। স্রেফ কিছু টাকা রোজগার করতেই এই মাঠে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। যার ফলাফল হয়েছে ভয়াবহ।

বৃষ্টি না হলেও প্রথম দু’দিনে খেলা মাঠে গড়ায়নি। কারণ, পানি নিষ্কাশনের অবস্থা ভয়াবহ। তৃতীয় দিনে আবার নামে বৃষ্টি। ফলে, তৃতীয় দিন সকালেই দিনের খেলা বাতিল হয়।

আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড – কোনো দলের ক্রিকেটাররাই হোটেল থেকে বের হয়ে মাঠে আসার সুযোগ পাননি। আর যে বের হতে পারবেন – সেই সম্ভবনাও আপাতত নেই।

বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) একটু নড়েচড়ে বসেছে। তাঁদের দাবি, তারা তিনটি মাঠের প্রস্তাব দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসিবি)। কিন্তু আফগানিস্তান বোর্ডই গ্রেটার নয়ডাকে বেছে নিয়েছে।

বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহীদ বিজয় সিং পথিক স্পোর্টস কমপ্লক্সে  স্টেডিয়ামটি বৃহত্তর নয়ডা কর্তৃপক্ষের। টাকা রোজগার করতেই তাদের এবং আফগান বোর্ডের কয়েক জন কর্তা ওখানে বর্ষার মৌসুমে ম্যাচ আয়োজন করেছেন।

এমন কি তিনি এও দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা (ইউপিসিএ) অনেক বার ফোন করে বৈঠকের জন্য ডেকেছিল। যা দরকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ইউপিসিএ প্রস্তাব দিয়েছিল, কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে ম্যাচ করতে। কিন্তু তাতে নাকি খোদ আফগান বোর্ডই রাজি হয়নি।

আফগান বোর্ডের দাবি যাতায়াত সুবিধার জন্যই নয়ডাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, বিসিসিআই আমাদের তিনটি স্টেডিয়ামে প্রস্তাব দিয়েছিল, কানপুর, ব্যাঙ্গালুরু এবং নয়ডা। আমরা শেষেরটি বেছে নিই যাতায়াতের সুবিধার জন্য। দিল্লী বিমানবন্দর থেকে মাত্র দু’ঘণ্টায় এখানে পৌঁছনো যায়। এই মাঠ বরাবরই আফগানিস্তানের ঘরের মাঠ ছিল। ২০১৬ সাল থেকে এখানে খেলছি।’

আফগানরা অবশ্য লখনৌ স্টেডিয়াম চেয়েছিল। দ্বিতীয় পছন্দ ছিল দেহরাদুন। কিন্তু, বিসিসিআই সেই প্রস্তাব রাখেনি। কারণ, সেখানে টি-টোয়েন্টি লিগের খেলা চলছিল। তাই, অনেকটা বাধ্য হয়েই নয়ডাকে বেছে নিতে হয় আফগানদের।

সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, নয়ডা সম্ভবত শেষ ম্যাচ আয়োজন করে ফেলল। এখন এই ব্যাপারে আইসিসি কি বলে, সেটাই জানার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট বিশ্ব।

ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের রিপোর্টের ওপর এই মাঠের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তবে, এই মাঠে যে টেস্ট ক্রিকেট আয়োজন সম্ভব নয় – সেটা এতক্ষণে সবার সামনে প্রকাশ্য দিবালোকের মতই পরিস্কার।

Share via
Copy link