ঠাণ্ডা মেজাজের দুই ব্যাটারের মধ্যে কে সেরা — রাহুল নাকি গিল?

আইপিএল মানেই ছক্কার আগ্রাসন কিংবা পাওয়ার হিটিংয়ের চোখরাঙানি। তবে কিছু ব্যাটার আছেন, যাদের ব্যাটিং আগ্রাসী না হলেও চোখ ফেরানো দায়। তেমনই দুই নাম শুভমান এবং কে. এল. রাহুল। তবে এই দুজনের মধ্যে এগিয়ে আছেন কে?

আইপিএল মানেই ছক্কার আগ্রাসন কিংবা পাওয়ার হিটিংয়ের চোখরাঙানি। তবে কিছু ব্যাটার আছেন, যাদের ব্যাটিং আগ্রাসী না হলেও চোখ ফেরানো দায়। তেমনই দুই নাম শুভমান এবং কে. এল. রাহুল। তবে ১১১ ম্যাচ খেলে এই দুজনের মধ্যে এগিয়ে আছেন কে? চলুন, উত্তরটা খোঁজার চেষ্টা করি।

দুজনেই আধুনিক ক্রিকেটের ক্লাসিক ব্যাটার। টাইমিং, ফুটওয়ার্ক, শট সিলেকশন—সবকিছুই দারুণ নিখুঁত। তাই তো ক্রিকেট মাঠে নিজেদের জায়গাটা দখলে নিয়েছেন তারা।

প্রথমে আসা যাক শুভমান গিলের প্রসঙ্গে। ১১১টি আইপিএল ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩৫২১ রান, গড় ৩৮, স্ট্রাইক রেট ১৩৭। চারটি সেঞ্চুরি আর ২৩টি হাফ-সেঞ্চুরি জানান দেয় তার সক্ষমতা।

শুধু ব্যাট হাতেই পারদর্শী নয়, নেতা হিসেবেও দারুণ সফল তিনি। এবারের আসরে অধিনায়কত্ব করছেন গুজরাট টাইটানসের হয়ে। তার দলও আছে পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে।

এ পর্যন্ত ৮ ইনিংসে করেছেন ৩০৫ রান, গড় ৪৩.৫৭ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫৩-এর বেশি। ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটা তার, আর যা পালন করছেন দারুণভাবেই।

অন্যদিকে, দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন কে. এল. রাহুল। ২০২৪ সালের মেগা নিলামে ১৪ কোটি টাকায় তাঁকে দলে নিয়েছে দিল্লি। এবারের আসরে দিল্লির মিডল অর্ডার যেন সামলাচ্ছেন একা হাতেই। ব্যাট হাতে শাসন করছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের।

আইপিএল ক্যারিয়ারে ১১১ ম্যাচ পরে তাঁর মোট রান ছিলো ৩৯১৭ , গড় ৪৭.১৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৫.৭৭।
পুরো ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১৩৮ টি ম্যাচ, রানের সংখ্যা ৪৯৪৯, গড় ৪৫.৮২ স্ট্রাইক রেট ১৩৫.৭৭। চারটি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি ফিফটি, সাথে ৪২২টি চার এবং ২০০টি ছক্কা—সবই বলছে, রাহুলই আইপিএলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য নাম।

এখন প্রশ্নটা কে বেশি সেরা? কেউ বলবেন, গিলের স্টাইল ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তাঁকে এগিয়ে রাখে। আবার কেউ বলবেন, রাহুলের পরিসংখ্যান এবং ম্যাচ ফিনিশ করার দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে রাখে।

তাই তো কে এগিয়ে—এই প্রশ্নের সহজ উত্তর নেই। ঠান্ডা মাথার দুই ব্যাটারের ব্যাটিং যে নীরব ঢেউ তুলতে পারে ক্রিকেট নদীতে, তা আলাদা করা কষ্টসাধ্যই বটে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link