যেন ভাগামভাগ ছবির অক্ষয় কুমার দৌঁড়াচ্ছেন। আসলে দৌঁড়াচ্ছেন না, পালাচ্ছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ফাহাদ হোসেনও তাই। বোলিং অ্যাকশন দেখলে মনে হয় তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বল রিলিজ করেনও অদ্ভুত উপায়ে, যেন একদমই নিয়ন্ত্রন রাখতে পারছেন না।
যদিও, এই অদ্ভুত অ্যাকশনটাই ফাহাদের বেশ কার্যকর। চার ওভারের মধ্যে ১৮ টাই দিলেন ডট। রান দিয়েছেন মাত্র ১১ টি। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল উইকেট পেয়েছেন চারটি।
চট্টগ্রামের পেসার ফাহাদের গতি খুব বেশি নয়, কিন্তু ক্লাসিক স্যুইং নির্ভর বোলার। তবে, বলের ওপর নিয়ন্ত্রন এখনও কম। তাই তো ওয়াইড দিলের চারটা। নিয়ন্ত্রন আনার কাজটা শিখে ফেললে লাইন-লেন্থ বোঝা আরও সহজ হবে। সেটা করতে পারলে নিজের ক্যারিয়ারের গতি বিধিই পাল্টে ফেলতে পারবেন ফাহাদ।
ফাহাদ বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর প্রোডাকশন নয়। একটু দেরি করেই ক্রিকেটে এসেছেন তিনি। ২০২৩ সালে ২৪ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর এই এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেই প্রথমবারের মত খেললেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আর সেখানে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ঝড়। ঢাকা বিভাগের টপ অর্ডার একাই ধসিয়ে দিলেন তিনি। প্রথম চারটা উইকেটের সবগুলোই তাঁর ঝুলিতে যোগ হল। সিলেটের সকালটা লেখা হয়ে গেল ফাহাদের নামে। ঘরোয়া ক্রিকেটে একবার টিকে যেতে পারলে এই রত্নের যত্ন না নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।