পুরো ক্রিকেটবিশ্ব অপেক্ষায় আছে একটা ব্লকবাস্টার সিনেমার। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল বাড়তি উন্মাদনা জাগিয়ে তুলেছে সর্বত্র। তবে দু’দলের লড়াইয়ে আলাদা চোখ থাকবে বিশেষ দুই তারকার ওপর – একজন কিউই তরুণ, প্রতিভা আর সামর্থ্যের ঝলকানিতে ইতোমধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটের নেক্সট বিগ থিঙ; অন্যদিকে বহুদিনের ভরসার নাম, ভারতীয় ক্রিকেট অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকে যার দিকে।
বলছিলাম রাচিন রবীন্দ্র এবং বিরাট কোহলির কথা। উভয়েই দলকে এতদূর টেনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। রাচিন তো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ না খেলেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গিয়েছেন। স্রেফ তিন ম্যাচ খেলেই তাঁর সংগ্রহ ২২৬ রান, আর এই তিন ম্যাচে দুই দুইবার সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন তিনি।
অন্যদিকে কোহলি সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় আছে চারে। তাঁর সংগ্রহ চার ম্যাচে ২১৭ রান, সেঞ্চুরি আছে একটা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং ইনিংসটার গুরুত্ব শতকের চেয়ে কম নয়।
টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার হওয়ার দৌড়ে এখন আছেন কেবল রাচিন এবং কোহলি। ব্যবধান মাত্র নয় রানের, তাই বলা বাহুল্য শেষপর্যন্ত কে জিতবেন মর্যাদার গোল্ডেন ব্যাট সেটা ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। দুই প্রজন্মের দুই তারকার দ্বৈরথ সত্যিই উত্তাপ সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিরাট হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, অন্যদিকে কিউই ব্যাটার ছিলেন চার নম্বরে। ধারাবাহিকতার অনন্য প্রদর্শনী দেখিয়ে ঠিক পরের ওয়ানডে টুর্নামেন্টেও একই জায়গায় আছেন তাঁরা।
এখন দেখার বিষয় গোল্ডেন ব্যাট কার হাতে উঠে, আগের দুই আসরে জিতেছিলেন শিখর ধাওয়ান। এবারও কি কোন বাঁ-হাতির দখলে যাবে এই পুরষ্কার, নাকি কোহলির ঝুলিতে যোগ হবে নতুন অর্জন। তবে গোল্ডেন ব্যাট না জিতলেও তাঁর সামনে আছে রেকর্ডের হাতছানি, ৪৬ রান করতে পারলেই ক্রিস গেইলকে ছাপিয়ে তিনি বনে যাবেন টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটার।