ইংল্যান্ডের খেলা আদৌ মন ভরাতে পারবে?

জ্যুড বেলিংহ্যাম, ফিল ফোডেন, হ্যারি কেইন – ইংল্যান্ড দলে তারকার কোন অভাব নেই। নামের প্রতি সুবিচার করে তাঁরা চলতি ইউরোতে ইতোমধ্যে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছেন বটে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় ইংল্যান্ডের খেলা আদৌ মন ভরাতে পেরেছে কি না, তাহলে অধিকাংশ সমর্থকের উত্তর নেতিবাচকই হবে।

তবে সেই দোষ ফুটবলারদের দেয়া উচিত হবে না একদমই, বরং কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দায়টাই বেশি। ভুলভাল ট্যাকটিক্স আর প্রতিভার অপব্যবহারের কারণেই ইংলিশরা তাঁদের সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না।

এই যেমন রিয়াল মাদ্রিদে ভাল স্ট্রাইকার না থাকায় ফলস নাইন হিসেবে খেলেছিলেন বেলিংহ্যাম, সেই পজিশনে সফলও হয়েছেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে হ্যারি কেইনের মত স্ট্রাইকার আছে তাই তাঁকে বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করা যেত; কেননা তাঁর অন্যতম সেরা গুণ বল ক্যারি করতে পারা। অথচ এই তরুণকে নাম্বার টেন হিসেবে খেলানো হচ্ছে প্রতি ম্যাচেই।

আবার ম্যানসিটির হয়ে রাইট উইংয়ে ঝড় তোলা ফোডেন পছন্দের পজিশনে খেলতে পারছেন না। বুয়াকো সাকা থাকায় তাঁকে নিজের জায়গা ছেড়ে খেলতে হচ্ছে বামপাশে এসে। ফলে সফেদ জার্সিতে তিনি নিজের চেনা ছন্দে নেই। একজন লেফট ফুটেড প্লে-মেকার লেফট উইংয়ে কিছু করতে পারবেন না – এমন সহজ বিষয় ভাবতে পারছে না ইংল্যান্ডের কোচিং প্যানেল।

রাইটব্যাক পজিশনে বিশ্বমানের এক ঝাঁক ফুটবলার রয়েছে থ্রি লায়ন্সদের। সেই তুলনায় লেফটব্যাক কেউই নেই স্কোয়াডে, তাই কিরিন ট্রিপিয়ারের মত এ্যাটাকিং রাইটব্যাককে ডিফেন্সিভ লেফটব্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত রাইট ফুটেড হওয়ায় তাঁকে আক্রমণভাগে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

কিন্তু এই জায়গায় চাইলেই আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে লেফট মিডফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করে তুলনামূলক কার্যকরী কৌশল সাজানো যেত। সেক্ষেত্রে আর্নল্ডের বল প্লেয়িং সক্ষমতার পূর্ণ ফায়দা পেতো দলটি।

আবার ইংল্যান্ডের খেলার ধরন একটু বেশি কেন্দ্রমুখী; ওয়াইড স্পেস ধরে ডিফেন্সে হানা দেয়ার কোন পরিকল্পনা তাঁদের নেই। ফলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link