জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক – কয়েক সপ্তাহ আগেও ক্রিকেটবিশ্বের কাছে নিতান্তই অপরিচিত একটা নাম ছিল এটি। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ হলেও সেভাবে খ্যাতি অর্জন করতে পারেননি তিনি, তাই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে দল পাননি। কিন্তু লুঙ্গি এনগিদির বদলি হিসেবে তাঁকে হুট করেই সুযোগ দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস, আর সেটাই বদলে দিয়েছে সবকিছু।
একাদশে জায়গা পেয়েই নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিতে শুরু করেছেন এই ব্যাটার। তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ প্রায় সব ক্রিকেটপ্রেমী, সেজন্য কোথাও কোথাও গুঞ্জন উঠেছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের হয়ে দেখা যেতে পারে তাঁকে। কিন্তু তিনি নিজে সেরকম কিছু ভাবছেনই না, এমনকি আইপিএলের পরপরই বিশ্বকাপ সেটাও জানতেন না।
এই অজি ক্রিকেটার বলেন, ‘মিচেল মার্শ বার্বাডোস ও আমেরিকায় যাওয়া নিয়ে গল্প করছিল। তখন আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি কি ওখানে খেলতে যাচ্ছে; তখন জানতে পেরেছি বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলছিলেন। তো বুঝতেই পারছেন এটি আসলে আমরা কল্পনাতেই ছিল না।’
যদিও ম্যাকগার্কের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী দিল্লির বর্তমান কোচ রিকি পন্টিং। তাঁর চোখে এই ডানহাতিকে মনে হয়েছে ‘সিরিয়াস ট্যালেন্ট’। তিনি বলেন, ‘এখনো সে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেনি। আমি তাঁর সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে চাই, তাঁর ব্যাটিং নিয়ে আরো কাজ করতে চাই। আমার বিশ্বাস, অস্ট্রেলিয়ার জন্য তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটার হবে সে।’
ব্যক্তিগত ভাবে উদীয়মান এই তারকা ডেভিড ওয়ার্নারের বড় ভক্ত, ওয়ার্নারের কাছ থেকে শেখার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ সীমাহীন। আর সেসব শিক্ষা মাঠে দেখানোর ক্ষেত্রেও কোন ছাড় দেননি তিনি। তরুণ ওয়ার্নারের মতই আগ্রাসন, চার-ছক্কা হাঁকানোর মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করতে দেখা যায় তাঁকে।
লিস্ট এ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে জেক ফ্রেসারের দখলে। এছাড়া লিস্ট এ, প্রথম শ্রেণি এবং আইপিএল অভিষেকে অর্ধশতক করেছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে পথচলা শুরু হয়েছে তাঁর, তবে নিজেকে আরো শাণিত করে নিতে হবে। তাহলেই ওয়ার্নারের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে পারবেন সুদর্শন এই তরুণ।