কেন টি-টোয়েন্টিতে নেই সৌম্য?

সৌম্যের জন্য ২০ ওভারের ক্রিকেটে দরজাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আপাতত শুধু অপেক্ষা—পরের সুযোগটা কবে আসে, আর তখন তিনি সেই দরজাটা খুলতে পারেন কিনা।

লিটনের চোটেই খুলেছিল সুযোগের দরজা। কিন্তু সেই দরজা দিয়ে ঢুকে আসার আগেই বন্ধ হয়ে গেল সৌম্য সরকারের জন্য। আরব আমিরাতের ভিসা না পাওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘোষিত নতুন স্কোয়াডেও নেই তাঁর নাম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে রান পাওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর নাম না থাকাটা বিস্ময়কর মনে হতে পারে। তবে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ফিরেছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও। এই দুই নিয়মিত মুখের ফেরাতেই জায়গা হারিয়েছেন সৌম্য।

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, ‘আমরা টপ অর্ডারে নিয়মিতদেরই রাখার চেষ্টা করেছি।’ অর্থাৎ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নয়, ধারাবাহিক সুযোগই প্রাধান্য পেয়েছে নির্বাচকদের চিন্তায়।

নেদারল্যান্ডস, এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে ভালো খেলা সাইফ হাসান আছেন দলে। পারভেজ ইমনও টপ অর্ডারে আছেন, যদিও তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তেমন চোখে পড়ার মতো নয়। সেখানে সৌম্যকে বিবেচনা করা যেতে পারত, তবে সেই পথে হাঁটেননি নির্বাচকরা।

ওয়ানডেতে ছন্দহীন তানজিদ হাসান তামিমকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বেঞ্চে বসতে হয়েছিল। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন সৌম্য, আর সেই সিরিজে ভালো খেলেছিলেনও। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা মেলেনি তাঁর জন্য।

গত কয়েক সিরিজে সৌম্যর পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার। শ্রীলঙ্কা, ডাচ ও আফগানদের বিপক্ষে কয়েকটি ফিফটি এলেও ধারাবাহিকতা ছিল না। তবু সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তাঁর মতো বহুমুখী ক্রিকেটারের প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অর্থাৎ, সৌম্যের জন্য ২০ ওভারের ক্রিকেটে দরজাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আপাতত শুধু অপেক্ষা—পরের সুযোগটা কবে আসে, আর তখন তিনি সেই দরজাটা খুলতে পারেন কিনা।

Share via
Copy link