ভারতের বিপক্ষে বড় একটা ধাক্কা হজম করতে হয়েছে বাজবলকে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড দল। যদিও মাথা নোয়াতে রাজি নন বেন স্টোকস, তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়। বাজবলকে সঙ্গী করেই আগামী দিনে সাফল্যের গান লিখতে চান তিনি।
অবশ্য আগামী কয়েক মাস ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও তাঁর শিষ্যরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন। ভারতের মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এমন বিরতি তাঁদের বড্ড দরকার ছিল, তবে বিরতির পরে তাঁরা কিভাবে ফিরে আসেন সেটিই এখন দেখার বিষয়। যদিও অধিনায়ক স্টোকস বিশ্বাস করেন তাঁর দল একই অ্যাপ্রোচ নিয়েই খেলবে।
একটা সিরিজ হার সবকিছু বদলে দিবে না, বদলাতেও চান না তিনি। কিন্তু ভারত সিরিজ ইংলিশদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাজবলের সীমাবদ্ধতা। ফলে, সমালোচনা হচ্ছেই।
একটা সময় ছিল যখন ধারণা করা হতো, এটা কেবলই রোমাঞ্চকর একটি স্ট্র্যাটেজি, পরাজয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে এর কারণে ম্যাচ জেতা যায়। সবমিলিয়ে ব্রিটিশরা একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল।
তবে টিম ইন্ডিয়ার স্পিন ত্রয়ী এবং জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের শক্তপোক্ত ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মত ভেঙে গিয়েছে। বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমনের বিপরীতে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উল্টো উইকেট দিয়ে এসেছে দলটির ব্যাটাররা।
যদিও এ নিয়ে তেমন সমস্যা দেখছেন না ২০১৯ বিশ্বকাপের নায়ক। তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও ঝুঁকি নেওয়া আপনার পতন নিয়ে আসবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে ঝুঁকি নেওয়ার পিছনে একটি কারণ আছে, তা হয়তো এখন কার্যকর হয়নি, তাহলে ঝুঁকি নেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত।’
কিন্তু, এশিয়ার মাটিতে যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছে বেন ডাকেটরা তাতে হতাশ হয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। সাফল্যের জন্য এখন নতুন করে ভাবতে হবে ইংল্যান্ডকে। আলোচিত বাজবল এপ্রোচকে আরো শাণিত করে ফিরতে পারলেই পুনরায় টেস্ট ক্রিকেটে রাজ করতে পারবে ইংরেজ বাহিনী।