গত বছর কিছুটা চমক হয়েই আসে টি-টোয়েন্টির জন্য বিসিবির আলাদা কোচের নীতি। তিন ফরমেটেই রাসেল ডমিঙ্গো প্রধান থাকলেও টেকনিক্যাল কন্সালটেন্ট এর মোড়কে শ্রীধরন শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয় বিসিবি। এবার ডমিঙ্গোর পদত্যাগের পর আবারো আলোচনায় বিসিবির দুই কোচের নীতি।
গুঞ্জন আছে সাবেক কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ওয়ানডে আর টেস্টের জন্য এবং শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হিসেবে পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের কাজ দিয়ে সবার মন জয় করেছেন শ্রীরাম। আইপিএলের কারণে তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে না পেলেও শুধু টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব তাঁর হাতেই তুলে দিতে চায় বিসিবি। গত ৬ জানুয়ারি বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে ঢাকায় এসে বৈঠকও করেছেন শ্রীরাম।
তবে অন্য দুই ফরমেটের জন্য কোচ খুঁজছে বিসিবি। কিন্তু প্রধান কোচ হিসেবে যাকে নিয়োগ দেয়া হবে তিনি শ্রীরামের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন কিনা সে নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বোর্ডকে। প্রথমে তাই প্রধান কোচ নিয়োগের প্রতিই মনোযোগ বিসিবির। তারপর প্রধান কোচের সাথে আলোচনা করে কোচিং প্যানেল ঠিক করতে চায় বোর্ড।
কোচ নিয়োগের বিষয় সহ আরো কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে বিসিবির পরিচালকদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন বলেন, ‘এই বিষয়গুলো মূল বিষয় হল আগে আমাদের প্রধান কোচ চূড়ান্ত করতে হবে। আমরা যেটা প্ল্যান করেছি প্রধান কোচ যে হবে তাঁর তো একটা চাহিদা থাকতে পারে। সেভাবে আমরা প্ল্যান করে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবো।’
বিপিএলের পরেই সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের বছরে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের আগেই তাই কোচিং প্যানেল চূড়ান্ত করতে চায় বিসিবি। এ ব্যাপারে বিসিবি সিইও বলেন, ‘কোচের বিষয়টা আমরা যেটা বললাম, বিপিএল চলছে। এটা শেষ হলে আমাদের ইংল্যান্ড সিরিজ। এই সিরিজের আগেই যেন আমরা জাতীয় দলের জন্য যে সাপোর্ট স্টাফ দরকার আছে সেগুলো যেন ঠিক করতে পারি। সেভাবেই আমরা যোগাযোগ রাখছি, অনেকের সাথেই আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই জাতীয় দলের পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজমেন্টটা যেন দিতে পারি।’