ব্যাটে রান নেই। ওয়ানডের সাথে মানানসই ব্যাটিংও করতে পারছেন না। আত্মবিশ্বাসটাও তলানিতে বাংলাদেশের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের।
এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো সরাসরি দেখা যাচ্ছে টফি-তে।
তবে, এই যাত্রায় টিকে যেতে পারেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কিছু মহল তেমনটাই আভাস দিচ্ছেন।
জাতীয় দলে ওয়ানডেতে ৭ ইনিংসে ১৩.৬ গড়ে রান মাত্র ৯৫ রান করেন নাঈম। এশিয়া কাপে প্রতিটা ম্যাচে শুরুটা মন্দ না হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। প্রতিটা ম্যাচেই আউট হয়েছেন ২০-এর ঘরে।
ওয়ানডেতে নাঈমের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৮ রান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ১৫৭ বল মোকাবিলায় ডট দিয়েছেন ১১০টি। তবুও নাঈমকে আরও সময় দেওয়ার পক্ষে নির্বাচক প্যানেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে নাঈমের পারফরম্যান্সের কথা স্মরণ করেন রাজ্জাক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সর্বশেষ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম।
এক মৌসুমে আবাহনীর হয়ে ৯৩২ রান করে তবেই জাতীয় দলে আসেন নাঈম। রাজ্জাক তাই, নাঈমকে জাতীয় দলে নেওয়াকে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত মনে করেন না।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে না নেওয়ার মতো তো কোনো কিছু সে (নাঈম) করেনি। জাতীয় দলে খেলার মতো কাজই সে করেছে, এখানে সে ক্লিক করতে পারেনি। তার অতীত রেকর্ড যে খুব একটা খারাপ, তা না। যখন আন্তর্জাতিক আঙিনায় সে পরিচিত হয়েছে তখন সে এতটা খারাপ ছিল না।’
নাঈমের ওপর ভরসা রাখছেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। বোর্ডের এই পরিচালক ও এশিয়া কাপের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য বলেন মনে করেন, চাপমুক্ত হয়ে খেলতে হবে নাঈমকে।
তিনি বলেন, ‘নাইম শেখ একজন ভালো ক্রিকেটার। সে আসলে ভালো খেলে। তবে এই পর্যায়ে টিকে থাকলে আপনাকে শারীরিকভাবে, টেকনিক্যালি এবং মানসিকভাবে তিন দিক থেকেই সঠিক থাকতে হবে। কালকে তার ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে আমার মনে হয়েছে মানসিকভাবে সে একটু চাপে ছিল। এটাতে মানিয়ে নেওয়াটা হল জরুরি।’
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আর একটা মাত্র ম্যাচই বাকি বাংলাদেশের। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ভারত। সেই ম্যাচে নাঈম খেলবেন কি না – তা জানতে সময়ের অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।