ক্রীড়াঙ্গনের যে কোনো বৈশ্বিক আসরেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ‘থিম সং’। কালের ধারায় এই বৈশ্বিক আসরগুলোকেই উপজীব্য করে কত গান যে মানুষের হৃদয় কেড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। তবে বৈপরীত্বও আছে। ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ওয়াকা ওয়াকা’ কিংবা ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ‘দে ঘুমাকে’-এর পর তেমন কোনো থিম সং আলোড়ন তুলতে পারেনি।
২০১১ এর পর আবারো বিশ্বকাপ ক্রিকেট মাঠে গড়াতে হচ্ছে উপমহাদেশের মাটিতে। তাই অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল, এবারের বিশ্বকাপের থিম সং ছাড়িয়ে যাবে আগের সব আসরগুলোকেও। তবে মন ভরাতে পারেনি ভারত বিশ্বকাপের থিম সং।
সম্প্রতি ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৩ এর জন্য মেগা আসরের থিম সং মুক্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি । ‘দিল জশন বলে’ নামক সেই গানে কন্ঠ দিয়েছেন ভারতের ৫ শিল্পী। ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের সে গানটির সুর করেছেন ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তী।
দিল জশন বলে, বাংলায় রূপান্তর করলে যা দাঁড়ায়, ‘হৃদয় উদযাপন করে।’ পুরোপুরি হিন্দিতে গাওয়া গানটির মিউজিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বলিউড তারকা রণবীর সিংকে। আর মিউজিক ভিডিওটি আবর্তিত হয়েছে ‘ওয়ানডে এক্সপ্রেস’ নামের একটি ট্রেনকে কেন্দ্র করে।
যেখানে মূলত বিভিন্ন দেশের যাত্রীকে প্রতীকী রূপে দেখানো হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই ভিডিওর বড় এক অংশ জুড়ে রয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া যুজবেন্দ্র চাহালের স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মাকে। জানা গেছে, গানটির কোরিওগ্রাফিতেও ছিলেন তিনিই।
তবে গানটি প্রকাশের পর থেকেই ধেয়ে আসছে সমালোচনা। মন ভরাতে পারেনি গানটি। এ নিয়ে চর্চা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতেও। অনেকে মনে করছেন, ২০১১ বিশ্বকাপের মতো গানটি সেভাবে হাইপ তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া, থিম সংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকটা হুট করেই প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
আইসিসির ওয়েবসাইটসহ সামাজিক মাধ্যমের পেজগুলোতে এই গানটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হচ্ছে ঐ দিনই। তবে জানা গেছে, বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন ৪ অক্টোবর হবে বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে অধিনায়কদের ফটোসেশন।