পুরোনো সৈনিককে ফিরে পেল জিম্বাবুয়ে

অবশেষে ব্রেন্ডন টেইলর ক্রিকেটের মঞ্চে ফিরলেন। বাইশ গজে তাঁকে দেখার অপেক্ষাটা শেষ হলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের দিনে জিম্বাবুয়ে ফিরে পেল সংগ্রামী সময়ের পুরোনো সৈনিককে।

অবশেষে ব্রেন্ডন টেইলর ক্রিকেটের মঞ্চে ফিরলেন। বাইশ গজে তাঁকে দেখার অপেক্ষাটা শেষ হলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের দিনে জিম্বাবুয়ে ফিরে পেল সংগ্রামী সময়ের পুরোনো সৈনিককে।

বেলফাস্ট থেকে বুলাওয়েও, মাঝখানে পেরিয়ে গেছে প্রায় চার বছর। গুটি গুটি পায়ে ক্রিজে নামার সময় ক্রিকেটের সবুজ ঘাসে হয়তো পুরোনো স্মৃতির পৃষ্ঠাটা খুঁজেছেন।

বয়সটা এখন ৩৯ বছর। যখন ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে গেছেন, তখন বয়সটা ছিল ৩৫। কাগজ-কলমের হিসাবে প্রায় শেষদিকেই তখন ক্যারিয়ারটা। তাই ব্রেন্ডন টেইলরের এপিটাফটা সেসময়েই লেখা হয়ে গিয়েছিল।

তবে শেষের গল্প থেকেই আবার শুরু করলেন তিনি, ফিরে এলেন প্রিয় ব্যাট হাতে। ক্রিকেটের কোনো শিরোনামে না থেকেও যে আবার ফিরে আসা যায়, সেটাই হয়তো ক্রিকেটপাড়ার সবচেয়ে জরুরি খবর।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে একেবারে ওপেনার হিসেবেই আবির্ভাব হলো তাঁর। বেন কারানের জায়গায় ইনিংস শুরুর দায়িত্ব পেলেন। আগের মতোই ধীরস্থির ব্যাটিং, উইকেটের সাথে পুরোনো সখ্যতা। পেরিয়ে যাওয়া সময়কে উপেক্ষা করে সেই চিরচেনা টেইলর-সুলভ ব্যাটিং।

অন্যরা যখন আশা-যাওয়ার মিছিলে, প্রতিপক্ষের বোলিং তাণ্ডবে দিশেহারা, তখনই একপ্রান্ত আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকলেন। বুঝিয়ে দিলেন সময় তো আর ক্লাস কেড়ে নিতে পারে না।

 

১০৭ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে শেষমেশ থামতে হলো তাঁকে। স্কোরবোর্ডে এই রান খুব একটা বেশি কিছু নয়। তবে চার বছর ক্রিকেটের পাঠ্যবই তুলে রাখা টেইলরের এই ইনিংসকে মন্দ বলার উপায় হয়তো নেই। ১২৫ রানে অলআউট হওয়া দলের টপ স্কোরার তো এই বুড়িয়ে যাওয়া টেইলরই।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link