বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় পেয়েছে উগান্ডা। এ জয়ে ব্যাট ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে আসা ২১ বছর বয়সী জুমা মিয়াগি। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১০ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জেতে উগান্ডা।
গায়ানার জর্জটাউনে লো স্কোরিং ম্যাচে ৩ উইকেটে পাপুয়া নিউগিনিকে হারায় ব্রায়ান মাসাবার অধিনায়কত্বে খেলা উগান্ডা ক্রিকেট দল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন মিয়াগী, নিজের প্রথম ওভারেই পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটার সেসে বাউকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে রান করতে বেশ বেগ পেতে হয় বিপক্ষ দলকে। অসাধারণ লাইন ও লেন্থের কারণে ব্যাটাররা চড়াও হতে পারেনি মিয়াগীর উপর। টানা তিন ওভার বল করে মাত্র আট রান খরচ করে একটি উইকেট নেন তিনি।
ইংনিসের ১৯ তম ওভারে অধিনায়ক আবারও বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মিয়াগীকে। নিজের শেষ ওভারে এসে আবারও আঘাত হানেন তিনি। আলেই নাওয়ের উইকেট উড়িয়ে দেন মিয়াগি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রানে দুই উইকেট নেন তিনি। ফলে ৭৭ রানেই ইনিংস শেষ হয় পাপুয়া নিউগিনির।
৭৭ রানের ছোট লক্ষে ব্যাট করতে এসে ২৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে উগান্ডা। তবে জুমা মিয়াগি এসে আবারও হাল ধরেন দলের। ১৩ রানের ছোট গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। রিয়াজাত আলি শাহ এর সাথে ৩৫ রানের সেই জুটি জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় উগান্ডাকে। রান আউটের শিকার না হলে হয়ত দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েই ইনিংস শেষ করতেন তিনি।
তবে উগান্ডার এই ঐতিহাসিক জয়ে লিখা থাকবে তাঁর নামও। তাছাড়া প্রথম ম্যাচেই ব্যাটে-বলে চমক দেখিয়েছেন মিয়াগি। আগামী ম্যাচগুলো তাঁকে দিতে হবে আরো কঠিন পরীক্ষা। কেননা তাঁদের গ্রুপেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর নিউজিল্যান্ডের মত দল। সেজন্য অবশ্য প্রস্তুতিটা ভালভাবেই নিতে হবে উগান্ডার এই বোলারকে।