জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানকে। বাবর আজমের দল করেছেও তাই। ৩৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৩৭ রানের মাথায় দুই উইকেট হারালেও মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে ভর করে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানতাড়ায় ম্যাচজয়ের এখন নতুন রেকর্ড।
এর আগে বৈশ্বিক এ আসরে সবচেয়ে বেশি রানতাড়ায় জয়ের রেকর্ড ছিল আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ভারতের মাটিতেই ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩২৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় আইরিশরা।
এক যুগ বাদে, এবার সেই রেকর্ডটিই নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। হায়দ্রাবাদের রানপ্রসবা উইকেটে প্রথমে ব্যাট করতে ৩৪৪ রানের বড় সংগ্রহ জমা করে শ্রীলঙ্কা। যে সংগ্রহের পথে লঙ্কানদের হয়ে সেঞ্চুরি করেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা।
৩৪৫ রানে লক্ষ্যে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপিয়ে পড়লেও পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে জয়ের ভিত্তি পেয়ে যায় পাকিস্তান। শফিক ১১৩ রানে ফিরে গেলেও রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১৩১ রানে। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় এ জয়ের এ রেকর্ড ছাড়াও পাকিস্তান অবশ্য ভিন্ন একটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে সফল রান তাড়ায় পাওয়ার প্লে-তে ১০০০ বল ছক্কাহীন থেকেছে পাকিস্তান। যা ওয়ানডে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড। এখন পর্যন্ত সফল রানতাড়ায় বৈশ্বিক এ আসরে কোনো দলই পাওয়ার প্লে-তে ১০০০ বল ছক্কাশূন্য থাকেনি।
তবে শুধু রানতাড়ায় না, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হয়েছে এ দিন যুক্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু কীর্তি। বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৪টি সেঞ্চুরি দেখা গিয়েছে এ ম্যাচে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। পাকিস্তানের হয়ে সেঞ্চুরি এসেছে আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে।
এ ছাড়া বিশ্বকাপ অভিষেকে পাকিস্তানের হয়ে এ দিন সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন আব্দুল্লাহ শফিক। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১১৩ রান। এতদিন বিশ্বকাপ অভিষেকে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ছিলেন মহসিন খান। ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি করেছিলেন ৮২ রান।
এ দিকে লঙ্কানদের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন কুশল মেন্ডিস। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২২ রানের ইনিংসের পথে তিনি সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৬৫ বলে। যা বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড।