Social Media

Light
Dark

ম্যানচেস্টারের যে সেঞ্চুরি শচীনকে বানিয়েছিল কিংবদন্তি

এই ডান-হাতি জানান ম্যানচেস্টারেই প্রথমবার তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, বড় ইনিংস খেলতে পারার এবং সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার সামর্থ্য তাঁর রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর মহারথী হয়ে ওঠার শুরুটা হয়েছিল এই সেঞ্চুরি দিয়েই।

সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি আছে শচীন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ারে, এর মাঝে আভিজাত্যের টেস্ট ফরম্যাটেই ৫১ বার শতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। আর এই অবিশ্বাস্য অর্জনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৯০ সালের ১৪ আগস্ট – ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১১৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস আসে তাঁর ব্যাট থেকে।

এতে ভর করে ম্যানচেস্টার টেস্ট ড্র করতে সক্ষম হয় ভারত। সে সময় একটি টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন সুনীল গাভাস্কার, সেই অনুষ্ঠানে সতেরো বছর বয়সী শচীনের প্রশংসা করতে তাঁর ভুল হয়নি।

তিনি বলেছিলেন, ‘কিছু কঠিন পরিস্থিতি ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরাটা বের করে আনে এবং সেরা ক্রিকেটারকে বের করে আনে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ১৯৯০ সালে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এমন একটি পরিস্থিতি ছিল এবং তখনই শচীন টেন্ডুলকার সামনে আসেন। এবং মনে রাখবেন, সে তখন প্রাপ্তবয়স্কও ছিল না, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর!’

এই কিংবদন্তি আরও বলেন, ‘ম্যাচটিতে বেশ কিছু প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স ছিল কিন্তু যেটি সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় তা হল শচীন টেন্ডুলকারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। সেই দিনটি ছিল এমন একটা দিন যেদিন ১৭ বছর বয়সী কিশোর পুরোদস্তুর পুরুষ হয়ে উঠেছিল।’

প্রথম সব সময়ই বিশেষ, ক্রিকেট ঈশ্বরও সেটা বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করেছেন। নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে দলকে বাঁচানোর দায়িত্ব যখন তাঁর কাঁধে এসে পড়েছিল তখনই নিজের সেরাটা দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি; তুলে নিয়েছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম তিন অঙ্কের ইনিংস।

এই তারকা প্রায়শই সেই ইনিংসের সময় নিজের মানসিক দৃঢ়তার কথা বলেছেন। ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে; ছোটখাটো ভুল করার সুযোগও ছিল না। তাই তো সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েই বোলারদের ফাঁদ মোকাবিলা করেছিলেন তিনি।

এই ডান-হাতি জানান ম্যানচেস্টারেই প্রথমবার তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, বড় ইনিংস খেলতে পারার এবং সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার সামর্থ্য তাঁর রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর মহারথী হয়ে ওঠার শুরুটা হয়েছিল এই সেঞ্চুরি দিয়েই।

Share via
Copy link