চ্যানেল নাইনের ব্রডকাস্ট। রিচি বেনোর ক্রিকেট ক্লাস। ডিজাইন করা মাঠের ওপর সিগালদের দৌরাত্ম। বাউন্ডারির বাইরে রৌদ্র-স্নানরতা সুন্দরীদের দল। সব মিলিয়ে ভোর রাতে স্বর্গ দর্শন। নাকি এখনও স্বপ্ন দেখছি?
বল হাতে খ্যাপল ডাইভ – ওহ! মাই ওয়ার্ড, দ্যাটস আ লাভ্লি আউট স্যুইঙ্গার। কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের বেপরওয়া ব্যাটের দাপটে আজিম হাফিজ মাঠের বাইরে।
ইমরান খানের কাঁপুনি ধরানো স্পেল। আজহারের কব্জির ম্যাজিক। অপর প্রান্তে সানির নির্ভরতা – আমি আছি, তুমি মন দিয়ে ছবি আঁকো। শিবা এবং রবির স্পিনের মায়াজাল। সুনীল গাভাস্কার দেখালেন এক দিনের ম্যাচও স্পিনাররা কীভাবে জেতাতে পারে।
সেমি ফাইন্যাল। আবার কাঁপছি, ভয়ে নয়, উত্তেজনায়। রিচার্ড হ্যাডলি টু কপিল দেব। কিছুক্ষন পর – ইন্ডিয়ান্স আর ড্যান্সিং অন দ্য আইল…… দ্যাটস অ্যাডিং আ লিটল বিট অফ ইন্সাল্ট টু আ লট অফ ইনজুরি। ভারত ফাইনালে।
ইস, ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠলো না! তাহলে আরও একবার।
ওয়াইড বলে চালাতে গিয়ে মুদাসসার আউট। মুষ্টিবদ্ধ দুই হাত তুলে কপিলের পেশি প্রদর্শন, মুখে পামলিভ মার্কা হাসি। কিছু পরে আমাদের সবচেয়ে বেশিবার দেখা বল – সৌজন্যে বুস্টের বিজ্ঞাপন। দ্য সিক্রেট অফ মাই এনার্জি। পরে, আওয়ার এনার্জি। বল অফ দ্য টুর্নামেন্টে কাশিম ওমার প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দিল, পেছন পেছন চলল ডোনাল্ড ডাক। বলটা কপিল আসলে ভিভের জন্য জমিয়ে রেখেছিল। ভিভও সামলাতে পারতো না।
স্বয়ং সুনীল গাভাস্কারের কাপ হাতে বক্তৃতা – দিস ইজ এনাদার ফ্লুক। ব্যাট হাতে না হলেও মাইক হাতে সানি সব সময়ই এটাক করতেন। এবং সঙ্গে টাইমিঙ্গ – ক্যাপ্টেনশিপ থেকে অবসর। সানি জানতেন শেষ পাতে মিষ্টি দিয়ে শেষ করতে হয়। তারপর সেলিব্রেশন। শ্যম্পেন। রবির অডি চেপে পুরো দলের পরিক্রমা।
কী বললেন? আটত্রিশ বছর হয়ে গেল? ধুস! ঠিক করে যোগ-বিয়োগ করে দেখুন – নিশ্চই কোথাও বড়সড় গণ্ডগোল করেছেন। আজকাল পরশুর ঘটনা ভুলে যাই, তো আটত্রিশ বছর। পারেনও!
১৯৮৫ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব ক্রিকেট, আজও একটা ম্যাজিকের নাম। ১৯৮৩ সালের পর সেবার আবারও ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার গৌরবে ভাসে ভারত।