প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে জয়ের পর ফুরফুরে মেজাজেই বাংলাদেশ দল। টেস্ট সিরিজেও জয় দিয়ে প্রোটিয়াদের মাটিতে সাদা পোশাকে সফলতার ছাপ রাখতে চায় মুমিনুল-লিটনরা। অপরদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া প্রোটিয়ারা। অবশ্য ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে লড়াইটা ছিল সমানে সমান। প্রথম দিনশেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৩ রান। আলোক স্বল্পতায় খেলা হয়নি প্রায় ১৭ ওভার।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ডিন এলগার ও সারেল এরউই ওপেনিং জুটিতেই করেন ১১৩ রান! শুরু থেকেই একপ্রান্তে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন এলগার। একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নেন অসাধারণ এক ফিফটি। দুই ওপেনারের ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চ বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। দলীয় ১১৩ রানে খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে ফিরেন এলগার। এরপর দ্রুতই ফিরেন আরেক ওপেনার এরউই। ১১৭ রানে ২ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে টেম্বা বাভুমার সাথে ২৯ রান করেন কিগান পিটারসেন। দলীয় ১৪৬ রানে দুর্দান্ত এক থ্রো’য়ে রান আউটের ফাঁদে ফেলে পিটারসেনকে ফেরান মেহেদি মিরাজ। খুব বেশি সময় টিকতে পারেনি রায়ান রিকেলটন। দলীয় ১৮০ রানে ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন রিকেলটন। এবাদতের প্রথম শিকার হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। প্রথম সেশনে ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশ দল এক সেশনের ব্যবধানেই প্রোটিয়াদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে।
ওপেনিং জুটিতে ১১৩ রান করা প্রোটিয়ারা ৮০ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। তবে পঞ্চম উইকেটে টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রোটিয়ারা। একপ্রান্ত আগলে রেখে বাভুমাও অসাধারণ এক ফিফটি তুলে নেন।
দিনের খেলা প্রায় ১৩ ওভার বাকি থাকতে আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ৭৬.৫ ওভারে প্রথম দিনশেষে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেটে বাভুমা ৫৩ ও কাইল ভেরেইনে অপরাজিত আছেন ২৭ রানে। পঞ্চম উইকেটে দু’জনের জুটি ৫৩ রানের। মূলত প্রথম সেশনে সাইটস্ক্রিনের সমস্যার কারণে আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা – ২৩৩/৪ (৭৬.৫ ওভার); এলগার ৬৭(১০১), বাভুমা ৫৩(৯৪)*, সারেল ৪১(১০২), ভেরেইনে ২৭(৬৪)*; খালেদ ১২.৫-৪৯-১, মেহেদি ২৩-৩-৫৩-১, এবাদত ১৭-৬-৫৮-১।