হেনরিখ ক্লাসেনের বিদায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। হার্ড হিটার এই উইকেটরক্ষকের শূন্যতা বেশ ভালোভাবেই ভোগাবে প্রোটিয়া শিবিরকে। তাই তো বড় প্রশ্ন— ক্লাসেনের জায়গায় আসবেন কে?
ক্লাসেনের মতো একজন মিডল অর্ডার ব্যাটারের রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া সহজ নয়। তবে প্রকৃতি শূন্যস্থান যেমন রাখে না, ক্রিকেটেও শূন্যতা বলে কিছু থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে কিছু উদীয়মান তরুণের নাম সামনে এসেছে, যারা ক্লাসেনের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।
- ডেভিড বেডিংহাম
প্রথম নামটি ডেভিড বেডিংহাম। ইতোমধ্যেই ১২টি টেস্ট খেলা এই ব্যাটার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রান ৮ হাজারের বেশি, গড় ৫০-এর উপরে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও রয়েছে দারুণ রেকর্ড। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেডন পার্কে তার ১১০ রানের ইনিংস এখনো অনেকের মনে গেঁথে আছে। যদিও এখনো সাদা বলের ফরম্যাটে নিয়মিত সুযোগ পাননি, তবে তার সামর্থ্য নির্বাচকদের ভাবাবে নিশ্চয়ই।

- ম্যাথিউ ব্রিজকি
পরের প্রতিশ্রুতিশীল নামটা— উইকেটকিপার-ব্যাটার ম্যাথিউ ব্রেটজকে। ২৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসেন। এছাড়া ২০২৩–২৪ মৌসুমে এসএ টি-টোয়েন্টিতে টুর্নামেন্টে ডারবান সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলে করেন ৪১৬ রান।তার ঘরোয়া রেকর্ডও বেশ ভালো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩,৪১৭ রান, লিস্ট ‘এ’-তে ২,০৫৩, আর টি-টোয়েন্টিতে ২,৮৫৬ রান করে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য জোর দাবি তৈরি করেছেন।

- লুয়ান-ড্রে প্রেটোরিয়াস
তবে সব আলো এখন যেন পড়েছে লুয়ান-ড্রে প্রেটোরিয়াসের ওপর। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই এই তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রথম শ্রেণিতে গড় ৭২-এর ওপরে, লিস্ট ‘এ’-তে ৪৪ এবং টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ১৬৭ স্ট্রাইক রেটে রান করার মতো ক্ষমতা তাকে আলাদাভাবে চিনিয়ে দিয়েছে।সর্বশেষ এসএ টি-টোয়েন্টি ২০২৫-এ পার্ল রয়্যালসের হয়ে ৩৯৭ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তিনি। বয়স কম হলেও তার ব্যাটিং সামর্থ্য এবং ম্যাচে প্রভাব রাখার ক্ষমতা তাকে ভবিষ্যতের বড় তারকায় পরিণত করতে পারে।

হেনরিখ ক্লাসেনের মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের অবসর নিঃসন্দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় ক্ষতি। তবে নতুনদের হাত ধরেই শুরু হতে পারে প্রোটিয়া ক্রিকেটের আরেকটি শক্ত ভিত গড়ার যাত্রা। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচকরা কাকে সেই ভরসার জায়গায় রাখেন, কাকে বানান ক্লাসেনের যোগ্য উত্তরসূরী?











