চট্টগ্রাম টেস্টের ফলাফল লেখা হয়ে গিয়েছিল আগেই। বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ভারত। ম্যাচ বাঁচাতে কিংবা জিততে হলে বাংলাদেশকে যা করতে হত তা প্রায় অসম্ভবই ছিল। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে হত আরো ১৮০ ওভার। জিততে হলে করা চাই ৫১৩ রান। ম্যাচ জিততে না পারলেও তাই বিশেষ কিছু করে দেখানো অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ।
এমন সমীকরণকে সামনে রেখেই বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমেছিল চতুর্থ ইনিংসে। গতকাল শেষবেলায় যে টেম্পারমেন্ট নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান দেখিয়েছিলেন সেটা আজ সকালেও দেখা গেল। পুরো সকাল দুজনে ব্যাট করলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। ভারতের বোলারদের বিপক্ষে গড়লেন শতরানের ওপেনিং জুটি।
নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নিলেন নিজের অর্ধশতক। শান্ত আউট হয়ে গেলেও আরেকপ্রান্তে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন জাকির হাসান। ইয়াসির আলী রাব্বি, লিটন দাস কেউই তাঁকে সঙ্গ দিতে না পারলেও নিজের কাজটা করে যাচ্ছিলেন।
অভিষেক টেস্টেই তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ২২৪ বলে ১০০ রানের এই ইনিংস খেলেন জাকির। অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসে ভর করেই অন্তত খানিকটা জবাব দিতে পারলো বাংলাদেশ। এছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনটাও পার করে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
এর পিছনে বড় অবদান আছে আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তরও। ১৫৬ বল খেলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে এরপরের ব্যাটাররা কেউই বড় রানের দেখা পাননি। প্রথম ইনিংসের মত আজও বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। নামের পাশে যোগ করতে পেরেছিলেন মাত্র ৫ রান। লিটন দাস ব্যাট হাতে নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলতে পারেননি আজ। স্পিনারদের বিপক্ষে বাজেভাবে ভুগছিলেন।
আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম রানে ফিরতে পারলেন না এই ইনিংসেও। ৫০ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ২৩ রান। ওদিকে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ফিরেছেন ৩ রান করেই।
তবে শেষবেলায় মিরাজকে সাথে নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই দুই ব্যাটারই এখন বাংলাদেশের শেষ ভরসা। ২৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান অপরাজিত আছেন ৬৯ বলে ৪০ রান করে। আরেকপ্রান্তে মিরাজ ৪০ বল খেলে করেছেন ৯ রান। পঞ্চম দিনে জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৪১ রান। আর ভারতের প্রয়োজন মাত্র চার উইকেট।