পাঁচে মিলে করি রান

এক ইনিংসে সাত ব্যাটারের সেঞ্চুরি দেখা গেছে তিন বার। এর প্রথমটা সেই ১৯৩৪ সালের ঘটনা। ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এরপর ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান কিংবা লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা গড়ে একই কীর্তি।

এক ইনিংসে পাঁচ ব্যাটারের স্কোর ৫০ ছুঁয়ে যাওয়া বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তো বটেই, বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো ব্যাপার নয়। রাওয়ালপিন্ডির আগেও আরও তিন বার এই কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দু’বারই দেশের বাইরে।

এবার রাওয়ালপিন্ডিতে এই রানের মিছিলের সূচনা করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিনি সাত রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। এরপর তাঁরই দেখানো পথে হাঁটেন মুমিনুল হক সৌরভ, লিটন দাস – দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি করেন। টেস্টের চতুর্থ দিনে নিজের ক্যারিয়ারের একাদশতম সেঞ্চুরি পেয়ে যান মুশফিকুর রহিম। আর তাঁর সাথে জুটি গড়ার পথে ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পান মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে সর্বশেষ বাংলাদেশ এমন ঘটনার সাক্ষী হয় ২০২১ সালে। সে বার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পালেকেল্লেতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুুমিনুল সেঞ্চুরি করেন প্রথম ইনিংসে। সেই ইনিংসেই মুশফিক, তামিম ইকবাল ও লিটন দাস হাফ-সেঞ্চুরি পান। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তামিম ইকবাল।

২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বেসিন রিজার্ভে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেন সাকিব আল হাসান। মুশফিক করেন ১৫৯ রান। সে বার এই ইনিংসেই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম, মুুমিনুল ও সাব্বির রহমান।

এর আগে ২০১২ সালে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এক ইনিংসে ছয়টি হাফ-সেঞ্চুরি পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ দল। মিরপুরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন নাঈম ইসলাম। সেদিন নাসির হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে হাফ-সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাকিব ও তামিম। মুশফিক সাত রানের জন্য মিস করেন হাফ-সেঞ্চুরি।

এক ইনিংসে সাত ব্যাটারের সেঞ্চুরি দেখা গেছে তিন বার। এর প্রথমটা সেই ১৯৩৪ সালের ঘটনা। ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এরপর ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান কিংবা লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা গড়ে একই কীর্তি।

Share via
Copy link