ঝলমলে চেহারা, প্রাণখুলে হাসছেন সাকিব আল হাসান। তবে, এই হাসির আড়ালেই আছে একটা ধোঁয়াশা। আছে একটা প্রশ্ন – কোন দিকে এগোচ্ছে সাকিবের ক্যারিয়ার?
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ঘনিয়ে আসছে। এর সাথে জমজমাট হয়ে উঠতে শুরু করেছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ। দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, যোগ দিয়েছেন চান্দিকা হাতুরুসিংহেও।
কোচ হাতুরুসিংহে বিশ্বকাপ শেষে দলের সাথেই ফিরে আসেন বাংলাদেশে। চারদিন থেকে এরপর যান দেশে। সেখান থেকে মঙ্গলবার রাতে ফিরে বুধবার আসেন মিরপুরে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাতুরুসিংহে থাকলেও অবশ্য সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ দল।
দেশের মাটিতে তো বটেই, আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরেও সাকিবকে না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আঙুলের চোট নিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলা হয়নি সাকিবের। এর আগে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটে বলে পারফরম করে দলকে জেতান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর দেশে ফিরেছিলেন সাকিব গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রেও।
সেখান থেকে ফিরে আওয়ামী লীগের হয়ে তোলা তিন আসনের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিন ফরম্যাটের এই অধিনায়ক। সেসময় দেখা যায় তার আঙুলে এখনও ব্যান্ডেজ লাগানো আছে। বুধবার মিরপুরেও এসেছিলেন আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়েই।
সাকিব করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ফিট হবেন – সে নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ মনে করে, সাকিবের মাঠে ফিরতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর আবার ম্যাচ ফিটনেস পাবার বিষয় থাকে। সব মিলিয়ে তাই, নিউজিল্যান্ড সফরটা সাকিব মিস করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে ১১-১২ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। চোট থেকে সেরে উঠলেও সাকিবের পুনবার্সন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে। পুনবার্সন প্রক্রিয়ায় সময় দিতে হবে আরও ৩-৪ সপ্তাহ। ফলে, একটা বিষয় ঠিক যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে সাকিবের ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।
আর সাকিব যদি সত্যি নির্বাচনে অংশ নেন, তাহলে ওই সময়টায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করাও তাঁর জন্য কঠিন হবে। কারণ, ঘোষণা করা তফসিল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে আগামী সাত জানুয়ারি। মানে, মনোনয়ন পাওয়ার সাপেক্ষে ডিসেম্বর মাসটায় সাকিবকে পাওয়া যাবে ভোটের মাঠে। ফলে, একরকম ধোঁয়াশা আছে তাঁকে ঘিরে। কার্যত শুধু নিউজিল্যান্ড সফর নয়, সাকিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রিকেট পাড়াতেই একটা ধোয়াঁশা বিরাজ করছে।